নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দু’বার ও অতিরিক্ত সময়ে আরও একবার এগিয়ে গেল স্পেন। প্রতিবারই ম্যাচে ফিরলো নেদারল্যান্ডস। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গিয়ে আর পারলো না ডাচরা। রোববার দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৫ গোলে সমতার পর ৫-৪ গোলে টাইব্রেকারে জিতল স্প্যানিশরা। অন্য ম্যাচে ইতালিকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মানি। নেদারল্যান্ডসের মাঠে প্রথম লেগ ড্র হয় ২-২ গোলে। ফিরতি লেগে ভ্যালেন্সিয়াতেও নিজেদের মেলে ধরল দু’দলই। এদিন ১৯টি শটের মধ্যে ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পারে স্পেন। ১৬টির মধ্যে সমান ৯টি শট লক্ষ্যে থাকে ডাচদেরও। অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন মিকেল ওয়ারসাবাল। বিরতির আগে দারুণ সব আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও জাল খুঁজে পায়নি দু’দল। মাঠে ফিরে ৫৪তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় ডাচরাও। স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান মেম্ফিস ডিপাই। জাতীয় দলের হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৪৭টি। আর ৩ বার জাল খুঁজে নিলেই ছুঁয়ে ফেলবেন নেদারল্যান্ডসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবিন ভ্যান পার্সিকে। ৬৭তম মিনিটে ফের স্পেনকে লিড এনে ওয়ারসাবাল। কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি শোধ করেন ইয়ান মাতসেন। জাতীয় দলের হয়ে এদিনই অভিষেক হয় এই ডাচ ডিফেন্ডারের। ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৩তম মিনিটে দূরপ্রান্তের শটে স্প্যানিশদের আরেকবার এগিয়ে নেন তরুণ তুর্কি লামিন ইয়ামাল।

ছয় মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৫-৫ করেন জাভি সিমন্স। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। স্পটকিক থেকে দুই গোল মিস করে সফরকারীরা। আর স্বাগতিকরা মিস করে একটি। শেষ শটে পেদ্রির বল জাল ছুঁয়ে দিতেই উল্লাসে মাতে স্প্যানিশরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলবে স্পেন। কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে ইতালিকে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে। প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয়ের পর জার্মানির মাঠে গিয়ে ৩-৩ গোলে ড্র করে ইতালিয়ানরা।