বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের স্পন্সর থাকলেও প্রায় এক যুগ পুরুষ ফুটবল দলের কোন স্পন্সর ছিল না। তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হিসেবে দাায়িত্ব নেয়ার মাস চারেক পরই জাতীয় দলে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পেয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে (ইউসিবি)। গতকাল রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাঁচ বছরের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ইউসিবির সঙ্গে বাফুফের পথচলাকে স্পন্সর নয় পার্টনার হিসেবে দেখছেন, ‘ইউসিবি ও বাফুফে স্পন্সর নয় একে অন্যের পার্টনার। আমরা একে অন্যের সহযোগী। সামনের দিনগুলোতে এক সঙ্গে আলোচনা করেই পথ চলবো।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পেছনে বাফুফের বছরে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় হয়। ইউসিবি জাতীয় দলের পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় বাফুফের জন্য স্বস্তির হলেও টাকার অঙ্ক উল্লেখ করেননি বাফুফে সভাপতি, ‘অন্য চুক্তির মতোও আমরা এই চুক্তির আর্থিক বিষয় উল্লেখ করছি না। তবে অবশ্যই আমাদের ম্যাচ খেলা, ক্যাম্প এসকল বিষয়ে তারা আর্থিক সহায়তা দেবে, পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিংও করবে।’
বাফুফের সঙ্গে ইউসিবি বিগত সময়েও কাজ করেছে। এবার পাঁচ বছরের বড় চুক্তিতে যাওয়ার পেছনে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শরীফ জহির বলেছেন, ‘প্রতিষ্ঠার জন্মলগ্ন থেকে ইউসিবি খেলাধুলাকে মূল্যায়ন করে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। বাংলাদেশেও এটা জনপ্রিয় হওয়ার সকল উপাদান রয়েছে। আমরা মনে করেছি এখনই বাংলাদেশের ফুটবলে সহায়তা করার উপযুক্ত সময়। তাই বাফুফে সভাপতির আহ্বান পাওয়া মাত্রই সাড়া দিয়েছি। যাতে ফুটবল সেই হারানো গৌরব ফিরে পায় এবং ফিফা-এএফসি র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করে।’
বাফুফে বিগত সময়ে অনেক পৃষ্ঠপোষক পেলেও দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী হয়নি। বাফুফের নতুন কমিটির কাছে এটা চ্যালেঞ্জ হলেও তারা আশাবাদী, ‘ইউসিবি আমাদের পার্টনার হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি চায় এবং খেলার মানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাশা করে। আমরা সেটা চেষ্টা করবো। এর পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা দেখে। সম্প্রতি ফিফা বাফুফের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।’
বাফুফে সম্প্রতি দৌড়ের সঙ্গে কিট পার্টনার চুক্তি করেছে। দুই বছরের চুক্তিতে এক বছর পর্যবেক্ষণমূলক রয়েছে। ইউসিবির পাঁচ বছর চুক্তি প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘চুক্তির মধ্যে অবশ্যই নানা বিষয় রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় তারা আমাদের পার্টনার। ফুটবলের স্বার্থে আমরা নন ফাইন্যান্সিয়াল অন্য প্রতিষ্ঠানকেও যুক্ত করতে পারবো।’ এ নিয়ে ব্যাংকের এমডি মামুনুর রশীদ বলেছেন, ‘আমরা আগামী দিনগুলো একসঙ্গে চলবো। সেই পথ মসৃণ, আঁকাবাকাও থাকবে। একসঙ্গেই সেই পথ পাড়ি দেব, এজন্য ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা একসঙ্গে চলবো।’