DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

ফুটবল

সাবিনাদের একুশে পদক নিয়ে নতুন সমস্যায় বাফুফে

টানা দুইবারের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ দল। এছাড়া বয়সভিত্তিক দলের অসংখ্য সাফল্য তো আছেই। দেশের নারীদের খেলাধুলায় এগিয়ে নেওয়ার পেছনে ফুটবল দলের অবদান কম নয়।

Printed Edition
woman

স্পোর্টস রিপোর্টার : টানা দুইবারের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ দল। এছাড়া বয়সভিত্তিক দলের অসংখ্য সাফল্য তো আছেই। দেশের নারীদের খেলাধুলায় এগিয়ে নেওয়ার পেছনে ফুটবল দলের অবদান কম নয়। তাই তো এবার প্রথমবারের মতো একুশে পদকে ভূষিত হতে যাচ্ছে সাফ জয়ী নারী দল। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলারদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে নারী দলের কয়জন সদস্য পাবেন এই স্বীকৃতি?এ নিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাফুফের কাছে ১১ জনের নাম চেয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ চিঠি পেয়ে বাফুফের মাথায় হাত। ২৩ সদস্যের স্কোয়াড থেকে তারা কোন ১১ জনকে পাঠাবে পদক গ্রহণের জন্য? এ বিষয়ে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দলের প্রধান বাফুফে সদস্য টিপু সুলতান বলেছেন, ‘ফিফা গাইডলাইন অনুযায়ী কন্টিনজেন্ট থাকে ৩২ জনের। তার মধ্যে টিম স্কোয়াড থাকে ২৩ জনের। ফুটবল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স শো-করার বিষয় না। এটা পুরোপুরি টিমওয়ার্ক।’‘খেলোয়াড়রা যে যার অবস্থান থেকে তার মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সাফল্য এনেছে। এ কারণে আমার মনে হয়, যদি উপদেষ্টামন্ডলী থেকে আরেকবার চিন্তা করেন, ভেবে দেখেন। পুরো স্কোয়াডকে যদি দেওয়া হয় তাহলে তারা সম্মানবোধ করবেন। দেশের জন্য ১১ জন সফলতা এনে দিয়েছেন তেমন না। পুরো দলেরই আছে এই কৃতিত্ব।’

এ প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেছেন, ‘আমরা শুরুতে ৩২ জনের তালিকা পাঠালে তা কমিয়ে ১১ জন ফুটবলারের নাম দিতে বলা হয়েছিল। তবে আমরা মনে করি সাফ জেতার পেছনে পুরো টিম কন্টিনজেন্টের অবদান রয়েছে। এখন ১১ জনই তো আর সব ম্যাচের পুরো সময় জুড়ে খেলেনি। সবারই কম বেশি প্রথম ম্যাচ থেকে অবদান আছে। যারা সাইড লাইনে ছিল তাদেরও অবদান কম নয়। কোচ-খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা সবার সম্মিলিত প্রয়াসে সাফল্য এসেছে। তাই আবারও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নতুন করে তালিকা পাঠিয়েছি।’বাফুফে, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাঝে যোগাযোগ রাখছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলামের উপলব্ধি, ‘শুরুতে বাফুফে থেকে ৩২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শুধু ফাইনালে যারা খেলেছেন তাদের পদক দিতে চাইছে। মানে ১১ জন। মাঝে আমরা বাফুফে থেকে আবারও সব খেলার তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কারণ আন্তর্জাতিক নিয়মে সাফে পুরো একটি দলে ৩২ জন ছিল। সাফের শিরোপা জয়ে সবার অবদান রয়েছে। শুধু ১১ জনকে দিলে তা ঠিক হবে না। এখন দেখা যাক তারা কী অনুমোদন করে।এদিকে জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন অবশ্য এ নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি, ‘আসলে আমাদের কাছে একুশে পদক নিয়ে কেউ কিছু জানতে চায়নি। কিংবা সেভাবে কিছু বলেনি। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আগে জানাক। তারপর হয়তো বলতে পারবো।’