এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের আগে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে আজ কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ৯ সেপ্টেম্বর। ২০২২ সালে সর্বশেষ নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই হারের শোধ নেওয়ার পাশাপাশি হংকংয়ের বিপক্ষে আসন্ন বাছাইপর্বের ম্যাচের প্রস্তুতিকে আরও দৃঢ় করাই মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের। ইনজুরির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে আসতে পারেননি হামজা চৌধুরী। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলায় ব্যস্ত থাকায় নেই ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামও। প্রস্তুতি ম্যাচের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন অধিনায়ক জামাল ভুইয়া। নেপালকে শক্তিশালী বললেও কাঠমান্ডুতে নিজেদের লক্ষ্য যে জয়, সেটা আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সবার প্রত্যাশা একইÑআমরা এখানে তিন পয়েন্টের জন্য এসেছি। আপনি যেকোনও খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সবাই একই উত্তর দেবে। আমরা জিততে এসেছি, তবে একইসঙ্গে ভালো পারফরম্যান্স করতে এবং নিজেদের ও দর্শকদের দেখাতে যে আমরা উন্নতি করছি, বিশেষ করে আগামী মাসের জন্য। আগামী মাস আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে এসেছে তার খেলার প্রসঙ্গও। যদিও সেটি ছাপিয়ে স্বাগতিকরা যে আগের চেয়ে শক্তিশালী দল, সেটাই জোর দিয়ে বলেছেন তিনি। নেপাল ম্যাচের গুরুত্ব বোঝাতে কাঠমান্ডুতে জামাল বলেছেন, ‘এখন আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। এই ম্যাচ দুটোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কারণ এগুলো আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগামী মাসে আমাদের এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ আছে। তাই এই দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুখিয়ে আছি।’ নিজের খেলার বিষয়ে আগের দেখানো যুক্তির কথাই পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি, ‘খেলবো কি খেলবো না, সেটি আমার হাতে নেই। সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। তবে অবশ্যই একজন খেলোয়াড় হিসেবে সবাই খেলতে চায়। আমাদের দলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, আর ফুটবল মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। নিজের সর্বোচ্চটা দিলে তবেই হয়তো জায়গা মিলবে দলে।’ এ সময় ঘরোয়া ফুটবল নিয়েও জামালকে কথা বলতে হয়েছে। তার উত্তর ছিল, ‘আমার মনে হয় প্রতিটি দেশের জন্যই শক্তিশালী লিগ থাকা জরুরি। যদি শক্তিশালী লিগ থাকে, তবে স্থানীয় খেলোয়াড়রা উন্নতি করবে। আর দেশের ফুটবলও উন্নতি করবে। শক্তিশালী লিগ মানে ভালো অবকাঠামো, ভালো স্টেডিয়াম, ভালো সুযোগ-সুবিধা। আমি আশা করি নেপালও একই পথে এগোবে।’ নেপাল দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে জামাল বলেছেন, ‘আমার মনে হয় নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ওদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝা যায়। সিঙ্গাপুরে গিয়ে খেলাটা সহজ নয়। আর এখানে খেলতে আসাটাও প্রতিপক্ষের জন্য সবসময় কঠিন।’