উয়েফা ন্যাশনস লীগের ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিল ফ্রান্স। তবে আগের লেগের ২-০ গোলের জয়ে সে বন্যায় বাধ দিতে পারলো ক্রোয়েশিয়া। রোববার দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ গড়লো অতিরিক্ত সময়ে। গোলের দেখা না মেলায় টাইব্রেকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দু’দলকে। প্রথম শটই ঠেকিয়ে দিলেন মাইক মেইনিয়। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে ফ্রান্সই। স্তাদে দে ফ্রান্সে ক্রোয়াটদের জালে এদিন গুণে গুণে ২৮টি শট নেয় স্বাগতিকরা, তার মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ৮টি। অন্যদিকে সফরকারীদের ৫টির মধ্যে সবগুলো শটই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।

বিরতির বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত গোলশূন্য ছিল ম্যাচ। এর মধ্যে দারুণ কিছু সেভ করেন ক্রোয়াট গোলকিপার ডোমিনিক লিভাকোভিচ। মাঠে ফিরে ৫২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। ডি বক্সের কাছ থেকেই দারুণ এক ফ্রি কিকে জালে বল জড়ান মাইকেল ওলিসে। শুধু তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না লিভাকোভিচের। এরপর বক্সের ভেতর দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৮০তম দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে দলকে সমতা এনে দেন উসমান দেম্বেলে। অতিরিক্ত সময়েও হতাশায় মিলিয়ে যায় এমবাপ্পের কয়েকটি শট। এরপরই শুরু হয় রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকার।

প্রথম তিনটির মধ্যে দু’টি শটই মিস করে সফরকারীরা। মার্তিন বাতুরিনার শট ঠেকিয়ে দেন মেইনিয় আর ফ্রানিয়ো ইভানোভিচের দ্রুতগতির শট চলে যায় বাইরে। গোল করেন নিকোলো মোরো। অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রথম দু’টি পেনাল্টি থেকে গোল করেন ওরেলিয়া চুয়েমিনি ও এমবাপ্পে। জুল কুন্দে বল পাঠান বাইরে। ক্রোয়েশিয়ার পরের তিন শটে জাল খুঁজে নেন মারিও পাসালিচ, ক্রিস্তিয়ান ইয়াকিচ ও দুয়ে চালাতা সার। সাডেন ডেথে স্তানিসিচের শট ঠেকিয়ে দেন মেইনিয়। রান্দাল কোলো মুয়ানি গোল করলে জয়ের আনন্দে ভাসে স্বাগতিকরা। সেমিফাইনালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে স্পেন।