তার গোলে বাংলাদেশ গত বছর ধরে রেখেছিল সাফের শিরোপা। সেই ঋতুপর্ণা চাকমা বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো নিয়ে গেলেন এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। বাছাইয়ে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে বাংলাদেশ। দুটো গোলই আসে ঋতুপর্ণার পা থেকে। জেতার পর দেশে থাকা মাকে কল দিয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। মেয়ের সাফল্যের কথা শুনে মায়ের অসুস্থতা দূর হয়ে যায় নিমিষেই। বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা বলেন, ‘জেতার পর মাকে ও পরিবারের সবাইকে কল দিয়েছি। তারা সবাই খুব খুশি দুটি গোল করেছি দেখে। মা তো অসুস্থ। আমার গোল করার কথা শুনে সে অনেক খুশি, বলছিল যে তার আর নিজেকে অসুস্থ লাগছে না।’ প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ। আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বে লড়াই। বাংলাদেশ এই মঞ্চে থাকবে সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি ঋতুপর্ণা, ‘অনুভূতি আসলে বলে প্রকাশ করতে পারব না। আমরা যখন জানতে পারি যে আমরা কোয়ালিফাই করেছি, এটা আসলে কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা বহু বছর পর এত কষ্ট করে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। যখন আমি দ্বিতীয় গোলটা করি। এটা আমি আসলে... এই অনুভূতি আমি আসলে বলে প্রকাশ করতে পারব না। আমি খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি।’ র‌্যাঙ্কিংয়ের ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে গুঁড়িয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাই। এরপর স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে উপহার দেয় চমক। নিয়মরক্ষার ম্যাচে আজ তুর্কমেনিস্তান মুখোমুখি হবে তারা।