ইনজুরির শঙ্কা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের জন্য ছাড়তে প্রায় অনীহা দেখা যায় ক্লাবগুলোর মধ্যে। তবে সে অনীহা কাটাতে দারুণ এক উদ্যোগ নিয়েছে বিশ^ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। আগে থেকেই বিশ্বকাপের মূলপর্বের জন্য খেলোয়াড়কে ছাড়পত্র দিয়ে ফিফার লভ্যাংশ পেত ক্লাবগুলো। ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে বাছাইপর্বের জন্যেও খেলোয়াড় ছেড়ে অর্থ পাবে ক্লাবগুলো। ইএসপিএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৬ বিশ্বকাপের মাল্টি বিলিয়ন ডলারের ফান্ড থেকে ক্লাবগুলোকে ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দেবে ফিফা। মঙ্গলবার ফিফা জানিয়েছে, যে প্রোগ্রামের অধীনে ২০১০ সাল থেকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা খেলোয়াড়দের জন্য লভ্যাংশ পেত ক্লাবগুলো, এবার থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য খেলোয়াড় ছেড়েও অর্থ পাবে তারা।
ফিফা তাদের বিবৃতিতে জানায়, নতুন এ প্রোগ্রামে যে ক্লাবগুলো ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য কোনো খেলোয়াড় ছাড়বে তারা সরাসরি অর্থ প্রতিদান পাবে। ফলে বিশ্বকাপের মূলপর্ব বাদ দিয়েও শুধু বাছাইপর্বের জন্য খেলোয়াড় ছেড়েও ক্লাবগুলো এখন থেকে ফিফার লভ্যাংশের ভাগ পাবে।এর আগে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের (ইসিএ) সঙ্গে দুই বছর আগে চুক্তি করেছিল ফিফা। যেখানে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য তারা ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখতে রাজি হয়েছিল। যা গত দুই আসরের তুলনায় ১৪৬ মিলিয়ন ডলার বেশি। ২০১৮ সালের রাশিয়া আর ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের জন্য ২০৯ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল ফিফা।
ফিফা জানিয়েছে, ২০২২ বিশ্বকাপে ৫১ দেশের ৪৪০ ক্লাবকে অর্থ পরিশোধ করেছিল তারা। যেখানে স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের দিনপ্রতি হিসেব করে অর্থ পরিশোধ করেছিল ফিফা। সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছিল ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের প্রায় ৪.৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল ফিফাকে। তবে এবার আর এত অর্থ পাবে না ক্লাবটি। কারণ এখন থেকে ৩২ দলের বিপরীতে ৪৮ দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলবে। আবার বাছাইপর্বের জন্যেও ফিফা অর্থ পরিশোধ করবে বিধায় কমবে লভ্যাংশের পরিমাণ। ২০১০ সালের আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকেই নিজেদের আয়ের ৪০ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ শেয়ার করে ‘ক্লাব বেনেফিটস প্রোগ্রাম’ শুরু করেছি ফিফা।এদিকে ইএসপিএন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একই ইউরোপিয়ান প্রোগ্রাম থেকে উয়েফার ৫৫ সদস্য দেশের ৯০০টির বেশি ক্লাবও জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় ছেড়ে অর্থ পেয়ে আসছে। তারা আগে থেকেই বাছাইপর্বের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে।