এএফসি বাছাইয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশের মতো বিদায় নিশ্চিত ভারতের। যদিও এই প্রতিযোগিতা শুরুর আগে অবসর ভেঙ্গে গত মার্চে দলে ফেরেন ছেত্রী। ২৫ মার্চ শিলংয়ে বাংলাদেশকে মোকাবিলার আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে গোলও করেন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোল করা এই তারকা। তবে এএফসি বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৯৫ গোল করা ছেত্রী। বাংলাদেশের প্রবল আক্রমণের সামনে গোলশূন্য ড্র করে তাঁর দল।

এরপর বাছাইপর্বে আরও তিন ম্যাচ খেলে ভারত; সেখানে দুটিতে হার, একটিতে ড্র। ৪ ম্যাচে দুই পয়েন্ট পেয়ে আগেই বিদায় ঘন্টা বাজে তাদের। এই তিন ম্যাচে ভারত ৪ গোল হজমের বিপরীতে স্রেফ দুবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাতে পেরেছে। সেই দুই গোলের একটিতেও নেই ছেত্রীর নাম।অথচ গত মার্চে জাতীয় দলে ফেরার আগের মৌসুমে ৩৪ ঘরোয়া ম্যাচে ১৭ গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন ছেত্রী। কিন্তু দেশের জার্সিতে তাঁর এমন বাজে ফর্ম কেন, এ নিয়ে জাতীয় দলের কোচকেই দুষছেন ভারতের অনেকে।এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মধেই গত আগস্টে মানোলো মার্কেজের পরিবর্তে কোচের দায়িত্ব খালিদ জামিলের কাঁধে তুলে দেয় অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু দুই কোচই এ সময় ছেত্রীকে একজন স্ট্রাইকার (নাম্বার নাইন) হিসেবে খেলিয়েছেন। যেটা একদমই পছন্দ হয়নি তাঁর বেঙ্গালুরু এফসির কোচ জেরার্ড জারাগোজার। ছেত্রীকে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলানোয় ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ খালিদ জামিলের সমালোচনা করে জারাগোজা সম্প্রতি বলেছেন, ‘সে (ছেত্রী) কি গত মৌসুমে বেঙ্গালুরুর হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছে? সুনীল ছেত্রী কি আদৌ স্ট্রাইকার? আমি জানতে চাই। কারণ জাতীয় দলে যদি তাঁকে একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলানো হয়, তবে সে নিজের কাজটা করতে পারবে না।’সর্বশেষ আইএসএলে ১৪ গোল করেছেন ছেত্রী। এই প্রসঙ্গ টেনে বেঙ্গালুরুর কোচ বলেন, ‘সে এই ১৪ গোলের মধ্যে একটাও কি স্ট্রাইকার হিসেবে।পেয়েছে?’জারাগোজা হয়ত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন ছেত্রী একজন ক্লাসিক সেন্টার-ফরোয়ার্ডের চেয়ে সুযোগসন্ধানী ফরোয়ার্ড হিসেবে বেশি কার্যকরী। এখন দেখার অপেক্ষা বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন ভূমিকায় মাঠে নামেন ৪১ বছর বয়সি তারকা।