ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামকে প্রাথমিক ক্যাম্প থেকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে গত দুইদিন ধরে উত্তপ্ত ফুটবল অঙ্গন। প্রতিবাদ, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে একদল ফুটবল সমর্থক। তার প্রেক্ষিতে সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বুধবার দুপুরে আলোচনায় বসেছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে। রাজধানীর নগর ভবনে ফুটবলে সৃষ্ট চলমান সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বাফুফে সভাপতির সাথে হামজা চৌধুরীও গিয়েছলেন ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। আলোচনার শুরুতেই জাতীয় দলে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দেশের ফুটবলের জন্য আশা জাগানিয়া উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেছেন, ‘হামজার মতো খেলোয়াড়ের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপের কারণ হবে।’ সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগের বিষয়গুলো বাফুফে সভাপতির কাছে জানতে চেয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। বাফুফে সভাপতি ক্রীড়া উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনে সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই যার যার জায়গা করে নেবে। এমন (সিন্ডিকেট) কোনো কিছুর আভাস মিললে ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। সৃষ্ট সঙ্কট কোনো সঙ্কট নয়, ফাহমিদুলকে আমরা বাদ দিয়ে দেইনি। সে প্রতিভাবান। তবে তাকে আমরা আরো সময় দিতে চেয়েছি। আগামী জুনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে। খুব শিগগিরই হয়তো তাকে আমরা মাঠে দেখতে পারি। সমর্থকদের এতটুকু বলবো, হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’

সিন্ডিকেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনিত অভিযোগ এবং ফাহমিদুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন, সে বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’ যে কোনো সঙ্কট মোকাবেলায় বাফুফেকে আরো সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য শুভকামনা জানিয়ে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দলকে আরো আত্মবিশ্বাসী করবে এবং ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।