বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলোর ওপর একের পর এক ফিফার দলবদল নিষেধাজ্ঞা নেমে আসছে। গত সপ্তাহে মোহামেডানের ওপর শাস্তির খড়গ নামার পর এবার তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনীও একই শাস্তির সম্মুখীন। বিদেশি ফুটবলার বা কোচদের পাওনা বকেয়া পরিশোধ না করায় সোমবার আবাহনীর ফিফা খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এদিকে, আরেক শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের ওপর পাঁচটি পৃথক নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
সাধারণত বিদেশি ফুটবলার বা কোচের প্রাপ্য বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত অথবা সংশ্লিষ্ট ফুটবলার আবেদন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। ফুটবল সংশ্লিষ্টদের ধারণা, চুক্তিকৃত কোনো বিদেশি ফুটবলার বা কোচ ফিফায় আবেদন করায় আবাহনী এই শাস্তির মুখে পড়েছে।
রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতে এবং বিদেশি ফুটবলারদের পাওনা না মেটানোয় কিংসের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি নিষেধাজ্ঞার খড়গ রয়েছে। অন্যদিকে, দুই মৌসুম আগে খেলে যাওয়া ইরানি ফুটবলার মাইসেমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ অক্টোবর মোহামেডানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
ফিফার নিষেধাজ্ঞা দিয়েই শুরু হয়েছিল ঘরোয়া ফুটবলের চলতি মৌসুম। প্রিমিয়ার লিগে খেলা নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের। তবে উজবেক ফুটবলারের পাওনা পরিশোধ করায় ফিফার নিষেধাজ্ঞা উঠায় ফকিরেরপুল এখন লিগ খেলছে। ফকিরেরপুলের ঘটনার মাস খানেক পরই লিগের পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ওপর ফিফা দলবদলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দলবদল ইতোমধ্যে শেষ হওয়ায় এই ক্লাবগুলোকে এখনই বড় জটিলতায় পড়তে হচ্ছে না। দুই লেগের মধ্যবর্তী দলবদলে খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে চাইলে অবশ্য এই ক্লাবগুলোকে আগে ফিফার নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হবে। বর্তমানে ফিফা রেজিস্ট্রেশন ব্যানের তালিকায় বাংলাদেশের মোট ১১টি ফাইল রয়েছে। এর মধ্যে কিংসের ৫টি, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ৩টি এবং মোহামেডান, আবাহনী ও ফেনী সকারের ১টি করে ফাইল রয়েছে।