ক্লাব বিশ্বকাপে আবহাওয়া এখন বড় এক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। টানা ঝড়বৃষ্টি ও দাবদাহের কারণে একের পর এক ম্যাচ বিলম্বিত হচ্ছে, আর সামনের সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বেড়ে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে- এমন পূর্বাভাসে উদ্বেগ বাড়ছে সব মহলে। অরল্যান্ডোতে বেনফিকা ও অকল্যান্ড সিটির ম্যাচটি দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হতে বিলম্ব হয় দুই ঘণ্টারও বেশি। একই শহরে মামেলোদি সানডাউন্স বনাম উলসান এইচডির ম্যাচ শুরু হয় এক ঘণ্টা পর। এছাড়া নিউ জার্সির পালমেইরাস বনাম আল আহলি ম্যাচে ৪০ মিনিট এবং সিনসিনাটিতে সালজবুর্গ বনাম পাচুকা ম্যাচে ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় খেলা বন্ধ ছিল বজ্রঝড়ের কারণে। আন্দোলনকারী সংগঠন ‘ফসিল ফ্রি ফুটবল’ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ১০টি ম্যাচ রয়েছে উচ্চ বা চরম মাত্রার তাপপ্রবাহের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনের এক বছর আগেই খেলোয়াড়রা পাচ্ছেন ভয়ঙ্কর গরমের বাস্তব অভিজ্ঞতা। রোহ্যাম্পটনের পরিবেশবিজ্ঞানী ড. ক্রিস টাইলার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম 'বিবিসি'-কে বলেন, “এই তাপমাত্রা খুব সাধারণ হয়ে যাবে, বিশেষ করে ৫টার আগেই যেসব ম্যাচ টেলিভিশনের দর্শকদের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তীব্র গরম হয়তো এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে। শার্লটের ছায়াবিহীন স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম পাচুকা ও বেনফিকা বনাম বায়ার্নের ম্যাচে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, সিনসিনাটি এবং ওয়াশিংটনেও থাকছে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। পিএসজি বনাম অ্যাতলেতিকোর ম্যাচে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনায় ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খেলা হয়েছিল।