ফিফা প্রীতি ম্যাচে আজ শুক্রবার স্বাগতিক থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে আফঈদারা। থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়। বাংলাদেশ নারী দল আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় খেলবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির সারতেই মূলত অংশ নিবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল থাইল্যান্ড গেছে। যার প্রথমটি শুক্রবার, দ্বিতীয়টি ম্যাচটি অনুষ্টিত হবে সোমবার।এই ম্যাচ উপলক্ষে থাইল্যান্ডের রোম সাই ফুটবল গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরেছে মেয়েরা। গত জুলাইয়ে উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাই উতরানোর ইতিহাস গড়ার পর এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। যদি ও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১০৪তম) চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থাইল্যান্ড (৫৩তম)।

সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত আছে আফঈদা-মনিকারা। যারমধ্যে জয় তিনটি, ড্র দুটি। এই সময়ে ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মিয়ানমারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছেন ঋতুপর্ণা-স্বপ্নারা।মূলত এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে থাইল্যান্ড সফরের ইতিবাচক দিকগুলোকে প্রাধান্য দিতে চান বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার। তিনি সফরকে নতুনদের জন্য উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি ধাপ হিসেবেও দেখছেন।যদিও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে অতীত ফলাফলটা ভাল নয় লাল সবুজ দলটির। ২০১৩ সালে সর্বশেষ সাক্ষাতে ৯-০ গোলের হারে বাংলাদেশের হয়েছিল ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা।

বাটলার যেন তাই থাইল্যান্ড সফরকে হার-জিতের পাল্লায় মাপতে চান না। আগামী মার্চে এশিয়ান কাপের মূল লড়াইয়ের আগে ঠিকঠাক দল গুছিয়ে নিতে এই ম্যাচগুলোকে কাজে লাগাতে চান ইংলিশ কোচ। “থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা কঠিন হবে, তবে আমি এই সফর নিয়ে খুশি। কারণ এটি আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের উন্নয়নের যাত্রাপথে আরেকটি ধাপ। আমরা দুটি ম্যাচে আমাদের সেরাটা দেব এবং অর্জিত ইতিবাচক দিকগুলো নিব।” বাফুফে ভবনে সারা বছর ক্যাম্প চললেও প্রস্তুতির জন্য খুব মানসম্পন্ন পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা মেলে না মনিকা-মারিয়াদের। বাফুফে ভবনেই থাকা, ভবনের সামনের জিমনেশিয়ামে ঘাম ঝরানো আর অনুশীলনের জন্য কখনও বুয়েটের মাঠ, কখনও কমলাপুর স্টেডিয়াম বা জাতীয় স্টেডিয়ামে ছোটাছুটি করতে হয় তাদের।

থাইল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে মেয়েরা অবশ্য সপ্তাহ তিনেকের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডে। ব্যাংককে মেয়েদের প্রস্তুতির সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ বাটলার। নারী ফুটবলের উন্নয়নে মাঠের ভেতরে-বাইরেও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য এশিয়ান কাপে বাংলাদেশকে খেলতে হবে চীন, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে। তার আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি হবে আফঈদাদের জন্য দারুণ কার্যকর। গত এক যুগে নারী ফুটবলে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক। থাইল্যাান্ডের বিপক্ষে যখন খেলেছিল তখন বাংলাদেশ ছিল অনভিজ্ঞ এক দল। অর্জন বলতে ছিল না কিছু।

এখন বাংলাদেশের মেয়েরা দুইবারের দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী দল। এশিয়ার সেরা ১২ দলের একটি। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দেখাতে চাইবে তাদের শক্তি। এই এক যুগের অধিক সময়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবল কতটা উন্নতি করেছে, সেটা প্রমাণ করার পালা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে।