আগামী বছর ২৩-৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে এসএ গেমস আয়োজনের সূচি নির্ধারিত হয়েছে। সেই গেমসের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন দুই ধাপে ২৫ ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। রোববার দ্বিতীয় বৈঠকে দলীয় ডিসিপ্লিনগুলোর প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালে কাঠমান্ডু এসএ গেমসে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল অংশগ্রহণ করলেও নারী দল করেনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবার আসন্ন পাকিস্তান এসএ গেমসে পুরুষের পাশাপাশি নারী দলকেও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে (বিওএ) দলীয় ডিসিপ্লিনের সভায় বাফুফে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও ট্রেনিং এন্ড ডেভলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব একে সরকার বলেছেন, 'ফুটবল এবার দুই দলই পাঠাতে চায়। নারী ফুটবল দল টানা দুই বার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা।

আমরা গেমসেও তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ পদকই আশা করি।' ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ফুটবলে এক বারই স্বর্ণ জিতেছিল ১৯৯৯ কাঠমান্ডু গেমসে। ২০১৯ সালে সেই কাঠমান্ডুতে জামাল ভুইয়ারা ব্রোঞ্জ পদক পায়। ২০১৯ সালের গেমসে সাবিনারা খেলতে না পারলেও শিলং গেমসে খেলেছিলেন। বাফুফের সাবেক ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির সিদ্ধান্তেই মূলত সাবিনাদের সেই গেমসে খেলা হয়নি। গতকাল বিওএ ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, ভলিবল, হ্যান্ডবল, রাগবি ও বাস্কেটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। অন্য সাত ফেডারেশনের কর্মকর্তা থাকলেও দুই শীর্ষ ফেডারেশন বাফুফে ও বিসিবি একজন এক্সিকিউটিভ পাঠিয়েছে। বিসিবির হাই পারফরম্যান্স বিভাগের ম্যানেজার জামাল বাবু বলেছেন, 'গত আসরে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই আমাদের স্বর্ণ ছিল।

এবারও সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি থাকবে। আমরা বিওএ'র কাছে অনুরোধ করেছি কোচিং স্টাফের সংখ্যা যেন বৃদ্ধি করার।' বিসিবির মতো বাফুফেও কোচিং স্টাফের পাশাপাশি খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে চূড়ান্ত স্কোয়াড ২৩ জনের হলেও গেমসে সেটা হয় ২০ জনের। দেশের আরেক শীর্ষ খেলা হকি এসএ গেমসের প্রস্তুতির জন্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বাজেট চেয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে কর্নেল রিয়াজুল হাসান (অব) বলেছেন, 'হকি সরঞ্জাম অনেক ব্যয়বহুল। আমরা সরঞ্জাম ব্যয় প্রদানের অনুরোধ করেছি। পাশাপাশি আমরা গেমসের একটা বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে বিওএ'র কাছে প্রদান করবো।' হ্যান্ডবল ফেডারেশন প্রায় প্রতি মাসেই নানা আয়োজন করে থাকে। ঘরোয়া পর্যায়ে খেলার প্রচলন থাকলেও আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ কম। হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা এসএ গেমসের জন্য ক্যাম্প শুরু করতে চাই। নিজেদের উদ্যেগের পাশাপাশি অলিম্পিক থেকেও সহায়তা চাই।’

বাস্কেটবলের নিজস্ব কোনো ভেন্যু নেই। বাস্কেটবল গেমসের আগে তিন মাস বিকেএসপি ও একমাস মিরপুর ইনডোরে প্রস্তুতি নিতে চায়। বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার জন্য অলিম্পিকের সহায়তা চেয়েছে ফেডারেশনটি।

আরো কয়েক ফেডারেশনের মতো বাস্কেটবলও বিদেশি কোচের সহায়তা চেয়েছে। জাতীয় খেলা কাবাডি ও ভলিবল পদক জয়ের আশা প্রকাশ করেছে। এদিকে এই সভায় ফেডারেশনগুলো যে প্রস্তাব রেখেছে তা আগামী ২৩ এপ্রিল বিওএ নির্বাহী কমিটির সভায় পর্যালোচনা হবে। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হলেই বিওএ সরকারের কাছে বাজেট ও গেমসের ভেন্যু সংক্রান্ত সহায়তা চাইবে বলে বিওএ সূত্র জানা গেছে।