পিএসজির হয়ে ট্রেবল জিতে বর্ষসেরা ফুটবলারে পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন ফ্রান্স তারকা উসমান ডেম্বেলে। ইতিহাস গড়েছেন আইতানা বনমাতি ও লামিন ইয়ামাল। বনমাতি টানা তৃতীয়বার জিতেছেন মেয়েদের ব্যালন ডি’অর। আর ইয়ামাল টানা দ্বিতীয়বার জিতেছেন বর্ষসেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি।
ঐতিহাসিক একটি মৌসুম কাটানো পিএসজির হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন দেম্বেলে। বার্সেলোনার লামিন ইয়ামালকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন দেম্বেলে। সোমবার দিবাগত রাতে ঐতিহাসিক থিয়াত্র দ্যু শাতলেতে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যালন ডি’অরের ৬৯তম আসর।২৮ বছর বয়সী দেম্বেলের হাতে ট্রফি তুলে দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিয়ো। স্মরণ করা হয় গত জুলাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়া পর্তুগাল ও লিভারপুল তারকা ডিয়েগো জোতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভাকে।
কানাডিয়ান গায়িকা শার্লট কারদিনের গানে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উপস্থাপনা করেন ডাচ কিংবদন্তি রুদ খুলিত ও ব্রিটিশ সম্প্রচারক কেট স্কট। ফ্রান্সের ষষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি অর জিতলেন দেম্বেলে। তবে গত ত্রিশ বছরের মধ্যে তার আগে স্বদেশি জিনেদিন জিদান ও করিম বেনজেমার হাতে উঠেছিল সম্মানজনক এই পুরস্কার।
নারী ফুটবলে টানা তিনবার ব্যালন ডি অর জিতে অবিশ্বাস্য কীর্তির জন্ম দিয়েছেন বার্সেলোনা ও স্পেনের তারকা আইতানা বনমাতি। সব মিলিয়ে তিনবার ব্যালন জেতা প্রথম নারী ফুটবলারও তিনি। দুবার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন বার্সেলোনার আরেক তারকা অ্যালেক্সিস পুতিয়াস।
পিএসজি নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা মৌসুম কাটিয়েছে গতবার। ঘরোয়া সব শিরোপা তুলেছে নিজেদের ক্যাবিনেটে। লুইস এনরিকের অধীনে প্রথমবারের মতো জেতে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। ক্লাব বিশ্বকাপে হয়েছে রানার্সআপ। ক্লাবের এত সব অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দেম্বেলে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে দেম্বেলে ৩৫ গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেন ১৬ গোলে।
ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪ গোলে অবদান রাখেন দেম্বেলে। এক হ্যাটট্রিকসহ নিজে করেন ৮ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করান ৬ গোল। পুরো মৌসুমে ৪৮টি গোলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন দেম্বেলে।
ব্যালন ডি অরের তালিকায় দেম্বেলের পরেই এবার ইয়ামাল। গত মৌসুমে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল রে ও সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।