বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে এমনটাই জানান দুজন চিকিৎসক। ২০২০ সালের ২৫ নবেম্বর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর বুয়েনস এইরেসের একটি ভাড়া বাড়িতে ম্যারাডোনার চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দায়িত্বে থাকা সাতজন চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছে আদালতে। যেখানে ম্যারাডোনার অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেই ক্লিনিকের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সেবাস্তিয়ান ন্যানি আদালতকে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন কোকেনে আসক্ত হওয়ায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগী ছিলেন দিয়েগো। অতিরিক্ত সেবার প্রয়োজনীয়তা ছিল তার। কিন্তু তিনি কোনো নিয়ম মানতে চাইতেন না। ব্যক্তিগত চিকিৎসক লুক হাসপাতালের বাইরে রেখে দিয়েগোকে পরিচর্যা করার কথা বলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর সঙ্গে একমত ছিল না।’ রোগী ম্যারাডোনার অসহযোগিতার আরও কিছু চিত্র তুলে ধরেন আরেক চিকিৎসক নিউরো সার্জন রোদোলফো বেনভেনুতি, ‘রোগী ম্যারাডোনাকে সামলানো খুবই কঠিন ছিল। চিকিৎসকদের তিনি সহযোগিতা করতেন না। অস্ত্রোপচারের আগে সিটি স্ক্যানের জন্য তাকে রাজি করাতেও বেগ পেতে হতো। অস্ত্রোপচারের পর ক্লিনিক ছেড়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন তিনি। সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও কারও কথা শোনেনি তিনি। অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন একজন চিকিৎসকের তার বাড়িতে যাওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু ম্যারাডোনার একগুঁয়েমির কারণে তা সপ্তাহে একদিনে এসে দাঁড়ায়।’ ইন্টারনেট।
ফুটবল
চিকিৎসকদের সহযোগিতা করতেন না ম্যারাডোনা
বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে এমনটাই জানান দুজন চিকিৎসক। ২০২০ সালের ২৫ নবেম্বর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর বুয়েনস এইরেসের একটি ভাড়া বাড়িতে ম্যারাডোনার চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দায়িত্বে থাকা সাতজন চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছে আদালতে।
Printed Edition
