নারী ফুটবলে বাংলাদেশ একের পর এক ইতিহাস গড়ছে। বয়সভিত্তিক দল ছাড়াও সিনিয়র দলেরও জয়জয়কার। ইতিহাস গড়ে ঋতুপর্ণারা এএফসি এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে। এরপর বয়সভিত্তিক আসরেও সাফল্য এসেছে। অনূর্ধ্ব-২০ আসরেও গ্রুপ সেরা হয়ে সাগরিকারা থাইল্যান্ডের মূল আসরে জায়গা করে নিয়েছেন। তবে নারী দলের ইতিবাচক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি অন্যদিক নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। বিশেষ করে তাদের বেতন-ভাতা, খাওয়া ও আবাসস্থল নিয়ে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্য নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সোমবার এ নিয়ে নিজের মতো ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

বাফুফে ভবনে নিজের রুমে বসে সংবাদ মাধ্যমকে মেয়েদের উন্নতি নিয়ে বলেছেন, ‘এখান থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয় আমাদের পাইপলাইন অনেক স্ট্রং। যে কারণে যে বছর সিনিয়র টিম কোয়ালিফাই করলো, একই বছর বয়সভিত্তিক টিমও কোয়ালিফাই করলো। এতে বুঝতে হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল সঠিক পথে আছে এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।’

এশিয়ান কাপের জন্য মেয়েদের জাপানে অনুশীলন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কিরণ, ‘আমরা ১৩ তারিখ তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বসবো। দুটো দলের জন্য প্র্যাকটিস ম্যাচ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এফোর্ট দিতে হবে। জাপান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে ইতিমধ্যেই মেইল করেছি। সেখানে আমরা সিনিয়র জুনিয়র দুই দলকে নিয়ে একসঙ্গে ক্যাম্প করতে চাচ্ছি।’

খেলোয়াড়দের খাবার নিয়ে নানান সময়ে নেতিবাচক কথা শোনা যায়। মান নিয়েও থাকে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে কিরণ বলেছেন, ‘পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত হবো না। বাফুফের ডর্মেটরিতে যে খাবার দেয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা। অনেকেই বলেন যে, আমরা এখানে পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই। আমরা একদিনও পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই না। বেশিরভাগ সময় রুইমাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। ইলিশ ও পাবদা খেতে চাইলে দেয়া হয়। প্রতিদিন তো এমন খাবারই দেয়া হয়। কেন মিথ্যা নিউজ করা হয়। মেয়েরা যদি ঠিকমত খেতেই না পারে তাহলে তো শক্তি থাকবে না। ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। ওরা তো ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলে। তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি। ছোটবেলা থেকে তাদের যে সমস্যা ছিল, সেটা তো আমরা কাটাতে পারবো না।’

লাওসের হোটেলে নাকি মেয়েরা ঠিকমতো খেতে পারছে না। এমন জানিয়ে কিরণ বলেছেন, ‘একেকটা দেশের খাবার একেকরকম। লাওসের খাবার তো মেয়েরা খেতে পারে না। বাঙালি খাবার খেতে না পারার কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এজন্য আমি বাঙালি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়ানোর কথা বলেছিলাম। পিটারের তো সেদ্ধ খাবার ভালো লাগবেই। এটা নিয়ে দ্বিধায় থাকার কিছু নেই।’