লিওনেল মেসির ঝলমলে পারফরম্যান্সে ইন্টার মিয়ামি এমএলএস প্লে-অফের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। শনিবার রাতে ইস্টার্ন কনফারেন্সের প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ন্যাশভিল এসসিকে ৪–০ গোলে বিধ্বস্ত করে জয়ের আনন্দে ভাসে মেসির দল। এই জয়ের মাধ্যমে মিয়ামি এখন এমএলএস কাপের শিরোপা জয়ের পথে আর মাত্র তিন ধাপ দূরে।
ম্যাচের শুরুতেই জ্বলে ওঠেন মেসি। ১০ মিনিটে চার ডিফেন্ডারের ভিড়ের মধ্য থেকে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করেন তিনি। এরপর ৩৯ মিনিটে মাতেও সিলভেত্তির পাস পেয়ে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে কাটিয়ে খালি পোস্টে বল জড়ান আর্জেন্টাইন জাদুকর।
দ্বিতীয়ার্ধে ন্যাশভিল একবার জালের দেখা পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ফাউলের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। পরে তাদেও আইয়েন্দে ৭৪ ও ৭৬ মিনিটে দুটি গোল করে ব্যবধান বাড়ান, নিশ্চিত করেন মিয়ামির দাপুটে জয়।
এই ম্যাচেই ইতিহাস গড়েছেন লিওনেল মেসি। চলতি শতাব্দিতে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি সহখেলোয়াড়দের ৪০০ গোল করাতে সহায়তা করেছেন—একটি বিশ্বরেকর্ড। আশ্চর্যের বিষয়, বর্তমানে সক্রিয় কোনো খেলোয়াড়ের অ্যাসিস্ট সংখ্যা এখনো ৩০০ ছুঁতে পারেনি।
এদিকে দলগতভাবেও ইতিহাস লিখেছে ইন্টার মিয়ামি। ক্লাবটির ইতিহাসে এই প্রথম এমএলএস প্লে-অফের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে তারা। দক্ষিণ ফ্লোরিডার আগের ক্লাব মিয়ামি ফিউশন ২০০১ সালে শেষ চারে উঠেছিল, তবে ইন্টার মিয়ামির জন্য এটি একেবারেই নতুন অর্জন।
সেমিফাইনালে এখন ইন্টার মিয়ামির প্রতিপক্ষ হবে সিনসিনাতি ও ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন–এনওয়াইসি এফসি ম্যাচের জয়ীদের মধ্যে একটি দল। ইস্টার্ন কনফারেন্সের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৬ ডিসেম্বর, আর আয়োজক হবে যেই দল ফাইনালে উঠবে—ফিলাডেলফিয়া, সিনসিনাতি বা মিয়ামির মধ্যে।