ভুটানের নারী ফুটবল লিগে বাংলাদেশের ১০ জন ফুটবলার খেলছেন। এরমধ্যে ৫জন আবার জাতীয় দলের প্রস্তুতির জন্য ১৭ মে দেশে ফিরেছেন। ফিরেই কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন তারা। সেই ৫ জনের অন্যতম সাফের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা। পারো এফসির হয়ে ভুটানের প্রথম ম্যাচে গোলও পেয়েছেন এই উইঙ্গার। ভুটানে বেশ কিছুদিন থেকে সেখানকার ক্লাবে পেশাদার আচরণ পেয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সবার মাঝে। ভুটান যাওয়ার আগে সেভাবে চিন্তাও করতে পারেননি ক্লাবগুলো পেশাদারিত্বের আবহে রয়েছে। ঋতুপর্ণা যে দলে রয়েছেন, সেখানে কোচ-ফিজিও সহ আনুষাঙ্গিক সবকিছুই আছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য প্রেসিডেন্ডস রিসোর্ট তো রয়েছেই। প্রায় দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে একটি ম্যাচ হচ্ছে। তবে তা হচ্ছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। ঋতুপর্ণারা তো প্রথম ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন পাহাড়ি বিপদজনক রাস্তায় প্রায় ৮ ঘণ্টা ভ্রমণ করে। সেখানকার সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেছেন,‘আসলে ভুটান যে নারী ফুটবলে এতো জোর দিয়েছে তা চিন্তাও করিনি আমরা। পেশাদার ভিত্তিতে ওখানে লিগ চলছে। আমরা হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক ম্যাচ খেলছি এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। কখনও চিন্তা করিনি পাহাড়ি বিপদজনক রাস্তায় ভয়ে ভয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভ্রমণ করে খেলতে যেতে হবে। অথচ আমি একজন পাহাড়ি মেয়ে। আমার নিজেরই ভয় লেগেছে। রাস্তার এমন অবস্থা ছিল, একটু এদিক সেদিক হলেই বড় বিপদ...।’ তারপরও তাদের পেশাদারিত্বের আচরণে ঋতুপর্ণা মুগ্ধ, ‘পেশাদার লিগ বলতে পারেন।
ফুটবল
ভুটান নারী ফুটবলে এতো জোর দিয়েছে চিন্তাও করিনি ---ঋতুপর্ণা
ভুটানের নারী ফুটবল লিগে বাংলাদেশের ১০ জন ফুটবলার খেলছেন। এরমধ্যে ৫জন আবার জাতীয় দলের প্রস্তুতির জন্য ১৭ মে দেশে ফিরেছেন।
Printed Edition
