দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আজ রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আগামী ৭ ও ৯ অক্টোবর সিরিয়া এবং দুবাইয়ের মেয়েদের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন অর্পিতারা।দুটি ম্যাচই অনুষ্টিত হবে দুবাই শহরে। প্রীতি ম্যাচ খেলা শেষে আগামী ১০ অক্টোবর কোচ সাইফুল বারীর শিষ্যরা জর্ডান যাবে। লক্ষ্যটা জর্ডানে অনুষ্ঠেয় এএফসি এশিয়ান নারী অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই উতরে যাওয়া। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক জর্ডান ছাড়াও গ্রুপের অন্য দলটি শক্তিশালী চাইনিজ তাইপে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৩ অক্টোবর স্বাগতিক জর্ডান এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ১৭ অক্টোবর চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রতিপক্ষ দুই দল। এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে ১০৪ তম অবস্থানে। ২৮ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডান ৭৬তম এবং চাইনিজ তাইপে ৪২-তম স্থানে। তবে শক্তিশালী এই দুই দলকে মোকাবিলার আগে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হওয়ার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সাইফুল বারীর অধীনে অনুশীলন করেন অর্পিতা বিশ্বাসরা। দেশের মাটিতে এক সপ্তাহের প্রস্তুতি এবং দুবাইয়ে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার পুঁজি নিয়েই জর্ডানে হাজির হবেন তারা। যার ফলে এই দলের কাচে প্রত্যাশাও সেভাবে করছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

আরব আমিরাতে রওয়ানা হওয়ার আগে শনিবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোচ সাইফুল বারী বলেন, ‘ওরা (জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে) আমাদের চেয়ে এগিয়ে। ওদের কোনো ভিডিও দেখিনি। ইউটিউবে জর্ডানের মেয়েদের একটা ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছি, জর্ডান খুব পাওয়ারফুল দল। প্রথম ম্যাচ আমাদের আবার জর্ডানের সঙ্গে। আগে ওই দুই দলের খেলা হলে তাদের শক্তিমত্তা দেখে নিতে পারতাম। যাইহোক আমাদের মেয়েরাও অনেক শক্ত।’ অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস মনে করেন সবশেষ সাফ ও দুবাইয়ে হতে যাওয়া দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে কাজে লাগবে। তার কথা, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভাল। সর্বশেষ সাফে ভাল খেলেছি। দুবাইয়ে শিখব, সেটা জর্ডানে কাজে লাগাবো।’ তবে বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরনের মতে, ‘মেয়েরা খুব ভাল প্রস্তুতি নিতে পারেনি। ফলে এটি একটি শিক্ষণীয় টুর্নামেন্ট হবে অর্পিতাদের জন্য।’

ইতোমধ্যে এএফসি এশিয়ান কাপে ইতিমধ্যে মেয়েদের দুটি দল কোয়ালিফাই করেছে। মিয়ানমারে হওয়া বাছাইপর্ব উতরে মূল আসরের টিকিট এনে দেন ঋতুপর্ণা চাকমারা। তাদের দেখানো পথে অনূর্ধ্ব-২০ দল এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।