আবারও মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ার যন্ত্রণায় নেইমার চোখের পানি আটকাতে পারেননি। তাঁর নিজেরই ধৈর্যের বাঁধ হয়তো ভেঙে যাওয়ার কথা। উপর্যুপরি চোটে তাঁর ক্যারিয়ারের গতি আর স্বাভাবিক নেই। এই চোটে পড়ছেন তো কিছুদিন কিংবা কয়েক মাস পর সুস্থ হয়ে আবারও মাঠে ফিরছেন এবং আবারও চোটে পড়ছেন। ছন্দে ফেরা তো বহু দূরের কথা। সান্তোসে ফেরার পর এ মৌসুমে যেমন চোট তাঁর পিছু ছাড়ছে না। সাও পাওলো রাজ্যের শীর্ষ লিগ ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তায় গত মাসের শুরুতে ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে বাঁ ঊরুতে চোট পেয়ে প্রায় ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। গত রোববার ব্রাজিলের শীর্ষ লিগ সিরি আতে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে মাঠে ফেরেন বদলি হিসেবে। এরপর গতকাল এই লিগেই অ্যাথলেটিক মিনেইরোর বিপক্ষে সান্তোসের ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে নেইমার সেই বাঁ ঊরুতেই চোট পেলেন আবারও। ভাগ্যের কী নিদারুণ পরিহাস, এ ম্যাচটি তাঁর জন্য ছিল বিশেষ উপলক্ষ। সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোয় এটা ছিল তাঁর শততম ম্যাচ। সে জন্য ‘১০০’ লেখা বিশেষ জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন। দুই পায়েই ইনজুরি টেপ প্যাঁচানো। টিকতে পেরেছেন ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। ২৭ মিনিটের মধ্যে সান্তোস ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বেঞ্চের দিকে বদলির ইশারা করেন নেইমার। বাঁ ঊরুটা ধরে মাঠেই বসে পড়েন, তখন তাঁর চোখেমুখে ব্যথাটা স্পষ্ট ছিল। ক্লাবের স্টাফদের সহায়তায় কার্টে উঠে মাঠ ছাড়েন নেইমার। এ সময় সান্তোস থেকে আতলেতিকোর খেলোয়াড়েরাও নেইমারকে সান্ত¡না দেন। বেঞ্চে গিয়ে পায়ে আইসপ্যাক দেন ব্রাজিল তারকা। বাঁ ঊরুর এ চোটেই গত মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিল দলের হয়ে খেলতে পারেননি নেইমার। জাতীয় দলে তিনি সর্বশেষ খেলেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সে ম্যাচে বাঁ হাঁটুর এসিএল ও মিনিসকাস চোটে পড়েন। সুস্থ হয়ে আল হিলালের হয়ে গত বছরের অক্টোবরে মাঠে ফেরেন নেইমার।