ইতিহাস গড়লেও আজ ষোলো কলাপূর্ণ করতে চান বাংলাদেশের মেয়েদের। তাই এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান আফঈদা খন্দকার-ঋতুপর্ণা চাকমারা।আজ বিকেল ৬ টায় তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। মাঠে নামার আগে গতকাল শেষ প্রস্তুতি সাড়ার ফাঁকে শতভাগ জয়ের কথা জানিয়েছেন আফঈদা। সমর্থকদের দোয়া চেয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের অনেক সমর্থন দিয়েছে। দলের পরিস্থিতি খুবই ভালো। সবাই খুব ফুরফুরে মেজাজে ভালোই অনুশীলন করলাম। আজ আমাদের শেষ ম্যাচ, এ ম্যাচের জন্য সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে ফিফা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা মায়ানমার (৫৫) ও বাহরাইনকে (৯২) হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ (১২৮)। মূল পর্বে জায়গা পাওয়া আনন্দিত আফঈদা বলেছেন, ‘(মূল পর্বের জায়গা পাওয়ার) এই আনন্দ আসলে বলে বোঝানোর মত নয়। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসে এই প্রথম এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছে, এটা খুবই আনন্দের। গর্ববোধ করছি।আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের মূল পর্ব। সেখান থেকে ৬ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। আফঈদার স্বপ্ন বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে দেখার। আগামী ২০২৭ বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে। বাংলাদেশের ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘সমর্থকদের বলব, যেভাবে আমাদের সমর্থন করছেন, সেভাবেই সাপোর্ট করবেন।আমরা যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি, সবাই দোয়া করবেন। দলকে আমি বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখতে চাই। যেহেতু আমাদের সামনে সুযোগটা আসছে, আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব সুযোগ কাজে লাগাতে।’

প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের অন্যতম নায়ক ঋতুপর্ণা বাফুফের প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘অনুভূতি আসলে বলে প্রকাশ করতে পারবো না। আমরা যখন জানতে পারি যে আমরা কোয়ালিফাই করেছি, এটা আসলে কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা বহু বছর পর এত কষ্ট করে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন।’মূল পর্বে উঠলেও উদযাপন বাকি রেখেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ জিতেই উদযাপন করতে চান জানিয়ে ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘আমরা এখনও উদযাপন করিনি। আরেকটা ম্যাচ আছে। তারপর উদযাপন করার পরিকল্পনা আছে। ভাবে আমাদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন, আগামীতে আমাদের সেভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাপোর্টে আমরা ভালো রেজাল্ট করবো এবং বাংলাদেশ দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।’ মায়ানমারের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে জোড়া গোলে বাংলাদেশকে জেতানোর পর সবার আগে মাকে ফোন দেন ঋতুপর্ণা। এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘জেতার পর মাকে কল দিয়েছি। পরিবারের সবাইকে। তারা সবাই খুব খুশি। দুটি গোল করেছি দেখে, মা তো অসুস্থ। আমার গোল করার কথা শুনে সে অনেক খুশি, বলছিল যে তার আর নিজেকে অসুস্থ লাগছে না।’