কলম্বিয়াকে বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে ব্রাজিল ঘরের মাঠে ড্রয়ের পথে ছিল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে খেলা চলছিল অতিরিক্ত সময়ে। এ পর্যন্ত দুই দলের স্কোর ছিল ১-১-এ সমতা। তাতে ব্রাজিলের ষষ্ঠ স্থানে নেমে যাওয়া ছিল স্রেফ কয়েক মিনিটের ব্যাপার। তবে শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের চোখ ধাঁধানো গোলে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে ব্রাজিল। শুক্রবার সকালে তারা জিতেছে ২-১ গোল ব্যবধানে। এদিন ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল হজম করে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরে কোনও পরিবর্তন আসছিল না।

১-১ গোলে ড্রয়ের বেশ কাছে ছিল ম্যাচটি। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ সব সেভে ভিনিসিয়ুসদের হতাশ করা কলম্বিয়ান কিপার ক্যামিলো ভারগাসও নির্ভার ছিলেন। কিন্তু ইনজুরি টাইমের নবম মিনিটে রাফিনিয়ার ছোট পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ভারগাস বলের গতিপথের দিকেই ঝাঁপ দেন। কিন্তু বল নাগালে ছিল না। তার বাঁ পাশ দিয়ে বাতাসে ভেসে বল জালে জড়ায়। ওই গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য। ম্যাচ শেষে ভিনি বলেন, ‘দলের পারফরম্যান্সে খুব খুশি আমি। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। গোলটাও আমার প্রাপ্য ছিল। গোলটি আসলে স্বস্তির, সুখেরও। আগের দুটি ম্যাচে ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করেছিল ব্রাজিল। কলম্বিয়ার সঙ্গে জিতে টেবিলের সেরা চারে উঠে গেলো তারা। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে উরুগুয়েকে টপকে দুইয়ে ব্রাজিল। শীর্ষ দল আর্জেন্টিনার (২৫) চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে চার পয়েন্ট পেছনে তারা। এদিন ম্যাচের শুরুতে, চতুর্থ মিনিটে কলম্বিয়ার পেনাল্টি বক্সে ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়ুস। বল নিয়ে বক্সে ঢোকার পর তাকে ফেলে দেন কলম্বিয়ার রাইট ব্যাকের খেলোয়াড় ড্যানিয়েল মুনোজ। পেনাল্টি থেকে ষষ্ঠ মিনিটে রাফিনিয়া ডান পায়ের শটে গোল করেন। রক্ষণের ভুলে বিরতির আগে গোল হজম করে ব্রাজিল। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের বক্সের মধ্যে বলের দখল হারায় তারা। হামেস রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে বক্সের বাঁ দিক থেকে কোনাকুনি শটে ৪১ মিনিটে সমতা ফেরান লুইজ দিয়াজ। বিরতি থেকে ফিরে ৫৫তম মিনিটে রাফিনিয়ার শট সেভ করেন ভারগাস। এতে দারুণ একটি সুযোগ হারায় ব্রাজিল। পরের দশ মিনিটে কলম্বিয়া গোল করে। তবে গোল বিল্ডআপের মুহূর্তে ব্রাজিলিয়ান কিপার আলিসনকে এক খেলোয়াড় আঘাত করায় সেই গোলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।