বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম হয়নি। বিশেষ করে জুনে এশিয়া কাপের বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে যাওয়ার পর থেকেই কাবরেরার পদত্যাগের দাবি ওঠে। দর্শকদের সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যরাও একই দাবি তুলেন। যার মধ্যে বাফুফে নির্বাহী সদস্য সাখওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন সরাসরি তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। সম্প্রতি আরেক সদস্য ছাইদ হাসান কাননও সিঙ্গাপুর ম্যাচ ক্যাবরেরা বেশ কয়েকটি ভুলের সমালোচনা করেছেন। সেপ্টেম্বর উইন্ডোর জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ক্যাম্প শুরু করেছে ১৩ আগস্ট। এক সপ্তাহ পর বুধবার মিডিয়ার সামনে এসেছেন হেড কোচ। নতুন উইন্ডো শুরু হলেও সিঙ্গাপুরের রেষ দিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুরু হয়েছিল।

ফুটবল সমর্থক, সাবেক ফুটবলারের পাশাপাশি খোদ ফেডারেশনের কর্মকর্তারাই তার উপর ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে হ্যাভিয়েরের মতামত, ‘আমি সকল মতামতকে সম্মান প্রদর্শন করি। আমরা অনেক সভাই করেছি বাফুফের বিভিন্ন ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে তারা তাদের বিভিন্ন মতামত দিয়েছে পাশাপাশি আমিও নিজের মত ব্যক্ত করেছি। অনেক কিছুতেই তারা আমার সঙ্গে একমত হয়েছে আবার কিছুতে দ্বিমত। সব কিছুকে আমি স্বাগত জানাই।' সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে বাংলাদেশ নেপালে দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। সেই প্রীতি ম্যাচের জন্য প্রায় এক মাসের প্রস্তুতি। যেখানে ক্লাবগুলো প্রাক মৌসুম অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছে না।

বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান সম্প্রতি গণমাধ্যমে বলেছেন, 'সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে কোচ খেলতে চায়নি সেই মোতাবেক ঘরোয়া সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।' সিনিয়র সহ-সভাপতিকে উদ্ধৃত করে প্রশ্ন করা করা হলে কোচের মন্তব্য, 'আমি সব সময় মৌসুম শুরুর আগে পরিকল্পনা সেট করি। কয়েক মাস আগে অনেক আলোচনা হয়েছে, আমি এ নিয়ে জনাব ইমরুলের সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে চাই না। আমি তাকে যথেষ্ট সম্মান করি। আমরা এখন নেপালের জন্য প্রস্তুতি হচ্ছি সেখানেই মনোযোগ।' ইমরুল হাসান ছাড়াও ফুটবলাঙ্গনে অনেকেই দু’টি প্রীতি ম্যাচের জন্য এত লম্বা প্রস্তুতির কড়া সমালোচনা করছেন। এ নিয়ে অবশ্য কোচের ভিন্ন ব্যাখ্যা, '১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক-ঘরোয়া খেলা নেই। এজন্য আগেভাগে ক্যাম্প ডাকা হয়েছে। যেন খেলোয়াড়দের পূর্ণাঙ্গ ফিট রাখা যায়।' বসুন্ধরা কিংস ১০ জন খেলোয়াড় ছাড়েনি। ফলে অনুশীলনে পূর্ণাঙ্গ রূপ নেই।

বিষয়টি মেনে নিয়ে ক্যাবেররার মন্তব্য, 'আমরা এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট ও ইতিবাচক যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা কার্যকরিও হবে কারণ আমরা প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছি। নেপালের জন্যই শুধু প্রস্তুতি নয় আমরা সামনে গুরুত্বপূর্ণ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হংকং ও ভারতের জন্য প্রস্তুত হওয়া।' বসুন্ধরা কিংস খেলোয়াড় না ছাড়লেও ১৫ আগস্ট থেকে অনুশীলন অব্যাহত রেখেছেন ক্যাবরেরা। কিংস ছাড়া অন্য ক্লাবগুলো থেকে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড় সংখ্যা ১৩ জন। অনুশীলনের সুবিধার্থে অন্য ক্লাব থেকে আরো ২-৩ জন খেলোয়াড় ডাকার পাশাপাশি বয়স ভিত্তিক কয়েকজনকেও ডেকেছেন। ছোটনের সাফ অ-১৭ ক্যাম্পে থাকা ৪ ফুটবলারকেও অনুশীলনে রেখেছেন।