বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ব্যস্ত সূচি যেন থামছেই না। মিয়ানমারে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের কঠিন লড়াই শেষে দেশে ফিরেই দল খেলেছে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার নতুন লক্ষ্য সামনে; লাওসে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। সেখানে অংশ নিতে লাওস গেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নারী ফুটবলে এশিয়ার চ্যালেঞ্জিং মঞ্চে আবারও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে অংশ নিতে দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের নেতৃত্বে লাওসের পথে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
আগামী ৬ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বাছাইপর্বের খেলা। বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক লাওস, শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া এবং তুলনামূলক দুর্বল তিমুরলেস্তে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে দক্ষিণ কোরিয়াই পরিষ্কার ফেবারিট হলেও, বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য রানার্সআপ হয়ে তিনটি সেরা দ্বিতীয় দলের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া, যাতে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূলপর্বে খেলার টিকিট পাওয়া যায়। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারসহ জাতীয় দলের ৯ ফুটবলার আছেন অনূর্ধ্ব-২০ দলটিতে। কোচ পিটার বাটলারও আছেন। তাই বাংলাদেশ বেশ শক্তপোক্ত দল নিয়েই লাওস গেল নারী দল।
দলের প্রধান কোচ পিটার বাটলার জানিয়েছেন, লাওসের বিপক্ষে ৬ আগস্টের উদ্বোধনী ম্যাচটিই হবে টুর্নামেন্টের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে জয় পেলে বাংলাদেশের সামনে বাছাইপর্বে ভালো কিছু করার বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হবে। দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন, ‘আমরা ভালো খেলে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে চাই। টানা খেলার মধ্যে থাকলেও ক্লান্তি নেই। সাফে আমরা সবাই গেম টাইম পেয়েছি, আর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পর কিছুটা বিশ্রামও মিলেছে।’ তিমুরলেস্তের বিপক্ষে ম্যাচটি তাত্ত্বিকভাবে সহজ ধরা হলেও, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে মূলত অভিজ্ঞতা ও সিনিয়র এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ। সেখানে ফলাফল নয়, গুরুত্ব পাবে খেলোয়াড়দের মানসিক ও কৌশলগত প্রস্তুতি। এই আসরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও মজবুত করার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফে কর্মকর্তারা।
অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ স্কোয়াড: গোলরক্ষক: স্বর্ণা রানী, মিলি আক্তার ও ফেরদৌসি আক্তার। ডিফেন্ডার: জয়নব বিবি, আফঈদা খন্দকার (অধিনায়ক), সুরমা জান্নাত, কানোম আক্তার, রুমা আক্তার। মিডফিল্ডার: স্বপ্না রানী, কানন রানী, ঐশী খাতুন, অয়ন্ত বালা, রুপা আক্তার, বর্না খাতুন, মুনকি আক্তার, সিনহা জাহান, শান্তি মার্ডি, নাদিয়া আক্তার। ফরোয়ার্ড: পূজা দাস, উমেলা মারমা, মোসাম্মৎ সাগরিকা, তৃষ্ণা রানী, নবীরণ খাতুন।