দীর্ঘদিন ধরে বেতন বাড়ানো দাবি জানিয়ে আসছিল জাতীয় দলের নারী ফুটবলার। এ নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সময়ক্ষেপণ করলেও এবার বাস্তবায়নের পথে হেটেছে। জাতীয় দলের ফুটবলারদের সাথে ইংলিশ কোচ বাটলারকে নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। ১৮ নারী ফুটবলার ক্যাম্প বর্জনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।অবশেষে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে। জাতীয় দলের দশ নারী ফুটবলার ভুটান লিগে খেলতে বর্তমানে রয়েছেন। অবশিষ্টরা ক্যাম্পে অনুশীলনে যোগ দিয়েছে।এরই মাঝে ঈদের আগে ৩৫ ফুটবলারের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছিল বাফুফে।বাকি ছিল বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার। অবশেষে সাবিনা কৃষ্ণাসহ ১৮ ফুটবলাকে বেতন বাড়িয়ে চুক্তির আওতায় এনেছে বাফুফে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। বলেছেন, ‘বাকি ১৮ জন খেলোয়াড় ছয় মাসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তির মেয়াদ স্বাক্ষরের তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে। এর ফলে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলারের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে।’ বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের মধ্যে বর্তমানে ৮ জন কোচ পিটার বাটলারের অধীনে ঢাকায় চলমান ক্যাম্পে অনুশীলন করছেন। বাকি ১০ জন বর্তমানে খেলছেন ভুটানের নারী ফুটবল লিগে। গত সপ্তাহে অনলাইনে সেখানে চুক্তির কপি পাঠিয়েছিল বাফুফে। ভুটানে বসেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ১০ নারী ফুটবলার। তারা হলেন- সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মানডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও মাতসুশিমা সুমাইয়া।মোট তিন ক্যাটাগরিতে বেতন পাবেন সাবিনারা। সিনিয়ররা পাবেন সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার করে। আর সর্বনিম্ন ২০ হাজার করে পাবেন জুনিয়ররা। এরমধ্যে সাবিনারা আগের চেয়ে বেতন বাড়িয়ে চুক্তির আওতায় এসেছেন। তবে নতুন করে বেতন কাঠামোর চুক্তি নিয়ে কারও কারও মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।সামনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আছে। আগামী ৩১ মে তারা মুখোমুখি হবে জর্ডানের, ৩ জুন খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচের জন্য ভুটানে খেলতে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচ জনকে জাতীয় দলে ডেকেছেন পিটার বাটলার। দ্রুতই পিটারের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা মনিকা, মারিয়া, রুপনা, শামসুন্নাহার ও ঋতুপর্ণার।