বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় পর্যায়ে প্রথম প্রতিযোগিতা অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করেছিল। জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া এই চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব হবে ২০ ডিসেম্বর নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে। বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বে ৬০টি দল অংশ নিয়েছিল। সেখান থেকে জোনাল চ্যাম্পিয়নরা খেলছে মূল পর্ব। ১২ দল চার গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। পরবর্তীতে চার গ্রুপের চার চ্যাম্পিয়ন খেলবে সেমিফাইনাল। ২০২৫ সালের মধ্যেই ফাইনাল শেষ করার পরিকল্পনা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। জাতীয় অ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাথমিক পর্ব শেষ হয়েছে মাস তিনেক আগে। প্রাথমিক পর্বের পর চূড়ান্ত পর্ব শুরু হতে বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে অ-১৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল করিম বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম ও ভেন্যুর জন্য আমরা কিছুটা সময় নিয়েছি। চূড়ান্ত পর্ব শুরুর আগে দলগুলোকে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সপ্তাহ তিনেক।’

জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব নোয়াখালীতে হবে, এজন্য তারা সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে খেলবে এমনটাই ছিল বাইলজে। নোয়াখালীর ভেন্যু জটিলতা তৈরি হওয়ায় বাইলজ পরিবর্তনের জন্য বাফুফে সভায় উঠেছিল। সেটা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নোয়াখালীতেই হচ্ছে মূল পর্ব।এই বছর অ-১৭ দলের সাফ ও এএফসি টুর্নামেন্ট ছিল। অ-১৫ দেশব্যাপী টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়ায় মেধাবী ফুটবলার চিহ্নিত করে ক্যাম্প করার সুযোগ হয়নি ফেডারেশনের।

চূড়ান্ত পর্ব শেষে বাফুফে কত সংখ্যক নতুন মুখ তুলে আনতে পারে সেটাই দেখার বিষয়। না হলে অর্ধ কোটি টাকারও বেশি এই আয়োজনের প্রকৃত স্বার্থকতা থাকবে না।