এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই অর্ধে চারটি করে গোল করেছে তারা। তিমুর লেস্তের বিপক্ষে ৮-০ গোলে জিতেছে পিটার বাটলারের দল। একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে খেলা বাংলাদেশ দলের পক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তৃষ্ণা।টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের গ্রুপের রানার্সআপ হওয়া নিশ্চিত।
গতকাল শুক্রবার ভিয়েনতিয়েনের নিও লাওস স্টেডিয়ামে ৮ মিনিটে বাংলাদেশ বেঁচে যায়। তিমুর লেস্তের একজনের প্রচেষ্টা নবীরন ফিরিয়ে দেন। ২০ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে দ্বিতীয় পোস্টের সামনে থেকে ফাঁকায় হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন শিখা সিনহা।
৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। শান্তি মার্ডির বাঁ পায়ের কর্নার বাঁক খেয়ে দূরের পোস্টের মাঝে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। কর্নার থেকে সরাসরি করা গোলকে বলা হয়ে থাকে অলিম্পিক গোল। এর জন্য প্রয়োজন নিখুঁত মাপা শটের আর কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা। আর সেটিই করে দেখালেন শান্তি মার্ডি।
৩ মিনিট পার্থক্যে বাংলাদেশ তৃতীয় গোল পায়। এবারও শান্তি মার্ডি নেপথ্যে। তার নেওয়া কর্নারে নবীরন জোরালো হেডে জাল কাঁপান।
যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ চতুর্থ গোল পায়। সাগরিকার পাসে তৃষ্ণা দারুণ প্লেসিং গোলে তিমুর লেস্তেকে ব্যাকফুটে ফেলে দেন।চার গোলে এগিয়ে থেকে ড্রেসিংরুমে যায় বাটলারের শিষ্যরা।বিরতির পর বাংলাদেশ একই গতিতে খেলতে থাকে। গোলও আসে। শুরুর দিকে গোলমুখে জটলার ভেতর থেকে পাওয়া বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান তৃষ্ণা। ৭২ মিনিটে ষষ্ঠ গোল আসে সাগরিকার পা থেকে। ৮২ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তৃষ্ণা। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে অনেকটা পথ দৌড়ে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন সাগরিকা। সেই বল পেয়ে অনায়াসে জালে জড়ান তৃষ্ণা।
যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ অষ্টম ও শেষ গোলের দেখা পায়। মুনকি আক্তার জটলা থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান।রোববার গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে।