ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে সাউথ এশিয়ান জুনিয়র টেবিল টেনিস (টিটি) টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে আজ সোমবার নেপাল যা”েছ বাংলাদেশ দল।এ উপলক্ষে রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে আয়োজন করা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলন। যেখানে বেশিরভাগ সময় আগের কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতি ও সামনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে বেশি। ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির নতুন সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ সনেট ‘ট্রেইন এন্ড টেস্ট’ পলিসির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চান। তিনি বলেছেন,অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের সময় ফেডারেশনের কোষাগারে কোনও তহবিলই ছিল না। সাড়ে চার লাখ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে শুরু করতে হয়েছে। এছাড়া হিসাব নিকাশও পাওয়া যায়নি। বিগত সময়ের আর্থিক বিষয়াদি তদন্তের কথা জানিয়েছেন নতুন সাধারণ সম্পাদক। তার বক্তব্য, ‘আমরা মাইনাস তহবিল দিয়ে শুরু করেছি। আগের টাকা খরচের কোনও রেকর্ড নেই। মাইনাস তহবিল। দুজন টাকা পাবে। সাড়ে চার লাখ টাকা। এখন আমাদের দিতে হবে সেই টাকা। আমরা বিস্মিত হয়েছি। মাইনাস তহবিল দেখে আমরা অবাক। কীভাবে চলেছে তাহলে কার্যক্রম। তদন্তটা এনএসসি থেকে করলে ভালো হয়। তারা না করলে আমরা করবো। অডিটও হবে। তদন্ত হবে। ছেড়ে দেবো না আমরা।’ এরপরই দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে তার কথা, ‘আমরা যখন ছেড়ে যাবো তখন যেন সব স্ব”ছ থাকে। এখন খেলার উপকরণও নেই। ১৪টার জায়গায় ৬টা টেবিল আছে। কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অডিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা করলে পরিষ্কার হবে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে।’ আগের কমিটিতে হাসান মুনীর সুমনকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবারও সহ সভাপতি হয়ে আছেন তিনি। তার দিকে ইঙ্গিত করে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ওনাকে দায়িত্বে রাখবো না। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে টেবিল টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।’ এদিকে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে রাখার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে পরখও করবে ফেডারেশন। টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘খেলাধুলায় প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। আমরা অবশ্যই খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে রাখবো। সেখানে ফিটনেসের ওপর বাড়তি জোর থাকবে। প্রশিক্ষণার্থীরা কতটুকু উন্নতি করলেন সেটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাচাই হবে। আমরা ‘ট্রেইন অ্যান্ড টেস্ট’ পলিসিতে এগোতে চাই।’ নতুন কমিটির শতভাগ স্ব”ছতা নিশ্চিতের দাবি করে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিযোগিতা এবং র‌্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে যারা শীর্ষ খেলোয়াড়, তারাই জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন। এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না। পাতানো খেলা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ জাতীয় কিছুতে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে। বড় ধরনের শাস্তির ব্যাপারে আমরা ফেডারেশন থেকে রেজুলেশন্স নিচ্ছি।’