৩৮তম জাতীয় ১৫ রেড স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে উত্তরা ক্লাবে। এবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড সংখ্যক ২০৬ জন স্নুকার অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে একজন নারী স্নুকার খেলোয়াড়ও রয়েছেন। গত বছর ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি হয়েছে। নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াসাদ করিম ভূইয়া বলেন, 'স্নুকার জাতীয় প্রতিযোগিতায় কখনো দু’শো খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেনি। এবার প্রায় ৩০ টি’র বেশি ক্লাব থেকে দুই শতাধিক খেলোয়াড় নিবন্ধন করেছে। যা আমাদের স্নুকার জন্য দারুণ ইতিবাচক। উত্তরা ক্লাব স্নুকার জন্য দারুণ পরিবেশ। উত্তরা ক্লাব এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হওয়ায় অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।' উত্তরা ক্লাবে টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ ফয়সাল তাহের বলেন, 'আমাদের ক্লাবের অন্যতম সংস্কৃতি স্নুকার। ২০১৬ সালেও আমরা জাতীয় স্নুকার করেছিলাম। সেই বার ১০৩ জন খেলেছিল। এবার এর দ্বিগুণ। আমরা ক্লাব থেকে নিয়মিত স্নুকার প্রতিযোগিতা করি। জাতীয় প্রতিযোগিতার ভেন্যু হওয়া অবশ্যই গর্বের। ফেডারেশন আমাদের এই সুযোগ দেয়ায় তাদের ধন্যবাদ। উত্তরা ক্লাব সব সময় স্নুকার সঙ্গে রয়েছে।'

বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশন হলেও অনেকটা ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার। ফেডারেশনের নেই অফিস, নিজস্ব বিলিয়ার্ড-স্নুকার টেবিলও নেই। ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাবের মতো সামাজিক ক্লাবেই ফেডারেশনের খেলা আয়োজন করতে হয়। এর পাশাপাশি স্নুকার আরো প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ফেডারেশনের সহ-সম্পাদক সুলতান মইন আহমেদ রবিন বলেন, 'স্নুকার টেবিল ও সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে ৭০% ট্যাক্স দিতে হয়। অন্য খেলার ক্রীড়া সামগ্রীর আমদানি করের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। ট্যাক্সের হার না কমালে অনেকে এই টেবিল আনায় আগ্রহী হবে না এবং দেশে বিলিয়ার্ডের প্রচলন ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি সম্ভব নয়। সারা দেশে এখন ১০০ স্নুকার টেবিলও নেই।' ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াসাত বলেন, 'আমরা নভেম্বরে দায়িত্ব নিয়ে ডিসেম্বরেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ট্যাক্স কমানো, ফেডারেশনের কার্যালয় ও একাডেমী সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।' ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের এসএ গেমসে বিলিয়ার্ড ও স্নুকার রয়েছে। বিওএ বাংলাদেশ স্নুকার দলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে ফেডারেশনের সভাপতি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সরকার মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (অব) বলেন, 'এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা খেলোয়াড় বাছাই করব। আবার প্রয়োজনে এসএ গেমসের জন্য আলাদা বাছাই টুর্নামেন্টও হতে পারে। অলিম্পিক এসোসিয়েশনের নির্দেশনা পেলে আমরা এসএ গেমস নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। বিলিয়ার্ড ও স্নুকারকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।' ৩৮ তম জাতীয় স্নুকার চ্যাম্পিয়ন পাবেন এক লাখ টাকা পুরস্কার। অন্য পজিশনেও রযেছে আর্থিক সম্মাননা। এই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক সাবেক জাতীয় শুটার দৈনিক সংবাদের প্রকাশক ও সম্পাদক আলতামাশ কবির বলেন, 'স্নুকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের জন্য বেশ সম্ভাবনাময় খেলা। মিডিয়ার প্রচারের মাধ্যমে এই খেলার প্রসার ও জনপ্রিয়তা সম্ভব।