সাঁতারে দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ পার্ক তে গুনের অধীনে থেকে বাংলাদেশের সাঁতারুরা সাফল্য পেয়েছিল। এরপর এসেছিল জাপানের তাকিও ইনোকি। এবার ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি এসে নতুন করে বিদেশি কোচ নিয়ে এসেছে। মিশরের দীর্ঘদেহী সাইদ ম্যাকডিকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে কর্মকর্তারা।আপাতত ৭ মাসের জন্য ম্যাকডি এসেছেন। তার অধীনে এসএ গেমস ছাড়াও এশিয়ান ইয়ুথ গেমসসহ অন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। সাত বছর পর দেশের সাঁতারে বিদেশি কোচ এলো। বাংলাদেশের আগে সৌদি আরব, দুবাই ও কেনিয়া জাতীয় সাঁতার দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাকডি।ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘এই কোচের সঙ্গে আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত চুক্তি করেছি। এই কোচ ট্যালেন্ট হান্ট ছাড়াও এসএ গেমস এবং এ বছর আরও দুটি গেমসের জন্য সাঁতারুদের প্রস্তুত করবেন। এর জন্য আমরা সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েছি।’

মিশরীয় কোচ মাসিক বেতন পাবেন ৩ হাজার ডলার করে। থাকবেন ক্রীড়া পল্লীতে। তবে বিশ্ব সাঁতারে চীন-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অন্য দেশ তো শীর্ষেই থাকছে। সেক্ষত্রে মিশরের সেভাবে আধিপত্য কমই। সেখান থেকে কোচ আনার পেছনে মাহবুবুর রহমান যুক্তি দিয়েছেন এভাবে, ’আমরা চীন-জাপান কিংবা ইউরোপা আমেরিকা থেকে কোচ আনতে গেলে অনেক টাকা লাগে। তাদের শুরুটাই হয় ৭ হাজার ডলার দিয়ে। আমাদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এছাড়া মিশরের এই কোচের কোচিং ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করেছে। আমরা দেশ নয় ব্যক্তির ওপর জোর দিয়েছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’কোচের অর্থায়নে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও ক্রীড়া পরিষদের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে ফেডারেশন।