জাতীয় ক্রিয়া পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ ব্যুত্থান অ্যাসোসিয়েশনের নব গঠিত ১৯ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে। শনিবার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি
প্রফেসর মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এমবিএ, পিএসসি, এমডিএস, জিএসসি, পিএইচডি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাহী কমিটির ১৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. এডভোকেট শফিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদকবিশ্ব রেকর্ডধারী ও ‘ডিসকভারি চ্যানেলে খ্যাত সুপারহিউম্যান গ্র্যান্ডমাস্টার এম এ কে ইউরী বজ্রমুনি দায়িত্ব পালন করছেন। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মি. খালিল আশরাফ; লে. কর্নেল (অব.) ইউসুফ এবং ক্যাপ্টেন (অব.) তারিক, অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ, খলিল উল্লাহ আশরাফ, মেহেদি হাসান তমাল, সাইদ তানভির রহমান, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম, কাজি মাহিন মাহমুদ, ডিএম ওজায়ের হোসেন, ও কাওছার মাতুব্বর প্রমুখ ।
সভায় সভাপতি প্রফেসর মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং ব্যুত্থান এর কৌশলগত আলোচনার পাশাপাশি আসন্ন বজ্রপ্রাণ ব্যায়াম প্রতিযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার একটি ক্রীড়া ব্যুত্থানকে বিশ্বব্যাপী প্রচারে বিশেষ অবদান রাখায় বিশ্ব রেকর্ডধারী সুপারহিউম্যান গ্র্যান্ডমাস্টার মাক ইউরী বজ্রমুনির নিবেদিত পরিশ্রমের প্রশংসা করেন। এছাড়া, জাতীয় ক্রীড়া কাউন্সিলের প্রেরণাদায়ক উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়ে সাংবাদিক, ক্রীড়া সমর্থক ও স্পনসরদের ব্যুত্থানের বিশ্বব্যাপী প্রচারে জড়িত থাকার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য ব্যুত্থান (Butthan) অর্থ “বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত আত্মরক্ষা ও জাগরণ,” এটি একটি বাংলাদেশী মার্শাল আর্ট ও আত্ম রক্ষা মুলক ক্রীড়া যা আত্মরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের উপর কেন্দ্রীভূত। বাংলাদেশ ব্যুত্থান ফেডারেশন ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ , যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যুত্থানকে একটি জাতীয় ক্রীড়া হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়। সম্প্রতি, ইউনেস্কো-আইসিএম ব ব্যুত্থানের তথ্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, যা একটি গৌরবজনক বাংলাদেশী মার্শাল আর্ট ও ক্রীড়া হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে স্বীকৃতি ও প্রশংসার প্রকাশ।