মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গেমস উপলক্ষে অনুশীলন ক্যাম্প করছে চারটি ডিসিপ্লিন। কিন্তু এর মধ্যেই ভলিবলকে একমাসের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যা নিয়ে অনুশীলন ব্যাঘাতে শংকায় রয়েছেন কর্মকর্তারা। দেশের ক্রীড়াঙ্গণে ৫০টি ডিসিপ্লিনের অধিকাংশেরই নিজস্ব কোন ভেন্যু নেই। আজ এখানে, তো কাল অন্যখানে। খেলা কিংবা অনুশীলন সবকিছুই করতে হয় পরের জায়গায়। খেলা না হয় দু’চার দিনের জন্য। কিন্তু গেমসের আগে পোহাতে হয় সবচেয়ে বড় সমস্যায়। দীর্ঘ দিনের ক্যাম্প কোথায় করা যায়, কিভাবে করতে হবে, সে জন্যও নানা সমস্যায় ভুগতে হয় তাদের। এবারও মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম নিয়ে সেই বিড়ম্বনায় পড়েছেন চারটি ডিসিপ্লিনের কর্মকর্তারা। জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৪তম আসর। এই আসর উপলক্ষ্যে মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলছে কুস্তি, উশু, জুডো ও ফেন্সিংয়ের অনুশীলন ক্যাম্প। ইনডোরের মধ্যে চারটি ম্যাট বিছিয়ে অনুশীলন করছেন চার ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা। যদিও ভলিবল সকালে ও বিকালে দুই ঘন্টা করে বরাদ্দ চেয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) শাহরিয়া সুলতানার সই করা চিঠিতে দেখা যায়, ১-৩০ অক্টোবর দুইবেলা দুই ঘণ্টা করে ভলিবলকে বরাদ্দ দিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অনুশীলন ক্যাম্প করা চার ডিসিপ্লিনের কর্মকর্তাদের মধ্যে। উশু ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক দিলদার হাসান দিলুর কথা, ‘পলটনে ভলিবলের নিজস্ব কোর্ট রয়েছে। ছয়তলা বিল্ডিংও রয়েছে। তারপরও গেমস উপলক্ষে চার ডিসিপ্লিনের অনুশীলনের মধ্যে মিরপুর ইনডোরকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ভলিবলকে। এটা কোন যুক্তিতে হল তা বুঝলাম না। এতে ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটবে।’ কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আজাদ বলেন, ‘আমাদের চার ডিসিপ্লিনের মধ্যে সবকটিতেই ম্যাট মাটিতে বিছাতে হয়। প্রত্যেকদিন দু’বলো করে ম্যাট উঠিয়ে আবার বিছানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। আমরা ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে কথা বলব। এ বিষয়ে ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) শাহরিয়া সুলতানার কথা, ‘ক্রীড়া পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সম্মতিক্রমেই ইনডোরকে ভলিবলের জন্য সকাল বিকাল দুই ঘন্টা করে দেওয়া হয়েছে। কিভাবে কি করা যায় আমরা সেভাবেই ভলিবলকে নির্দেশনা দিয়েছি। সমন্বয় করে কাজ করলে আশাকরি সবাই উপকৃত হতে পারবে।