প্রথমবার উইম্বলডন শিরোপা জিতলেন পোল্যান্ডের ইগা শিয়নটেক। তিনি দেখালেন টেনিসে কীভাবে শ্রেষ্ঠত্ব স্থাপন করতে হয়। এই জয়ের মাধ্যমে শিয়নটেক কেবল উইম্বলডনের ট্রফিটিই জিতলেন না, বরং গড়লেন এমন একটি ইতিহাস, যা টেনিস দুনিয়ায় চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাত্র ৫৭ মিনিটেই আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বী আমান্ডা আনিসিমোভাকে উড়িয়ে দিয়ে (৬-০, ৬-০) জিতে নিলেন নিজের প্রথম উইম্বলডন শিরোপা। আর প্রথমবার উইম্বলডনের ফাইনালে খেলতে নেমেই তিনি দেখালেন কীভাবে শিরোপা জেতা যায় কেবল দক্ষতা দিয়ে নয়, বরং দাপটে, আক্রমণে আর নিখুঁত একচেটিয়া শৈলীতে। এতটাই একপাক্ষিক ছিল ম্যাচটি যে ১৯১১ সালের পর এই প্রথম কোনো নারী খেলোয়াড় উইম্বলডন ফাইনালে ‘ডাবল বাগেল’ স্কোরে জয় পেলেন। অর্থাৎ পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষ একটিও গেম জিততে পারেননি। এর আগেও চারটি ফ্রেঞ্চ ওপেন ও একটি ইউএস ওপেন জিতলেও উইম্বলডনের মুকুট ছিল অধরাই। এবার সেই অপূর্ণতা পূরণ হলো চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস ও শৈল্পিক পারফরম্যান্সে। ম্যাচ শেষে শিয়নটেক বলেন, ‘এটা পুরোপুরি অবিশ্বাস্য লাগছে। সত্যি বলতে, উইম্বলডনে জয়ের স্বপ্নও দেখিনি, কারণ এটা অনেক দূরের ব্যাপার ছিল। আমি জানি আমি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, কিন্তু এটা প্রত্যাশা করিনি।’ প্রথমবার অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ফাইনালে খেলতে নেমেই শুরু থেকে ছিলেন দারুণ আগ্রাসী। প্রথম সেট জিতেছেন মাত্র ২৫ মিনিটে। প্রতিপক্ষ আনিসিমোভা পুরো ম্যাচেই ছিলেন নার্ভাস; প্রথম সেটে মাত্র ৯টি পয়েন্টই জিততে পেরেছেন। দ্বিতীয় সেটেও একই চিত্রÑমোট ২৮টি আনফোর্সড এরর এবং পাঁচটি ডাবল ফল্ট করে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যান আনিসিমোভা। ম্যাচ শেষে চোখের পানি সামলে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ আমার জন্য অসাধারণ ছিল। আমি চাইতাম আপনাদের সামনে আরও ভালো পারফরম্যান্স দিতে, কিন্তু আজ সেটা হলো না।’ শিয়নতেক ও আনিসিমোভা বয়সে প্রায় সমবয়সী হলেও অভিজ্ঞতার দিক থেকে ব্যবধানটা স্পষ্ট। শিয়নতেক এখনও পর্যন্ত সবগুলো গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালেই জয়ী হয়েছেন এবারের উইম্বলডন জয়ে সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে। ইন্টারনেট।
অন্যান্য খেলা
ইতিহাস গড়ে উইম্বলডন জিতলেন পোল্যান্ডের ইগা শিয়নটেক
প্রথমবার উইম্বলডন শিরোপা জিতলেন পোল্যান্ডের ইগা শিয়নটেক। তিনি দেখালেন টেনিসে কীভাবে শ্রেষ্ঠত্ব স্থাপন করতে হয়। এই জয়ের মাধ্যমে শিয়নটেক কেবল উইম্বলডনের ট্রফিটিই জিতলেন না, বরং গড়লেন এমন একটি ইতিহাস,
Printed Edition
