বিশ্বকাপ হকির বাছাই পর্বে ওঠার জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে, সেই সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। শনিবার বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল রিয়াজুল হাসান (অব.) এ কথা নিশ্চিত করেছেন। ঠিক কবে হবে ম্যাচ তিনটি তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সাথে আলোচনা করে আমরা তারিখ নির্ধারণ করবো।’ ২৯ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজগিরে হওয়া এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ষষ্ঠ স্থান লাভ করায় বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ওঠার জন্য এই সিরিজ খেলতে হবে। সিরিজ জয়ী দল পাবে আগামী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলার টিকিট। যেখানে খেলবে ১৯টি দল। এশিয়া কাপ হকিতে নাম ছিল পাকিস্তানেরও। তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন নিয়ম করেছে, কোনো দেশ নিরাপত্তার কারণে অংশ নিতে না পারলে এবং তাদের র্যাঙ্কিং যদি ষষ্ঠ হওয়া দেশের চেয়ে ওপরে থাকে তাহলে প্লে-অফের সুযোগ পাবে। তাই বাংলাদেশ ষষ্ঠ হওয়ায় খেলতে হবে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে। কবে নাগাদ হতে পরে এই ম্যাচ তিনটি? বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা একটু দেরিতেই আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে এশিয়ান হকি ফেডারেশন বেশি দেরি করতে পারবে না। এখন আমাদের ম্যাচ আয়োজনের তারিখের বিষয়টি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। সামনে আমাদের অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিশ্বকাপ ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই কবে তারিখ দেওয়া যায় সেটা সবাইকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি একা সম্ভাব্য তারিখ বলতে পারছি না।’ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ম্যাচ তিনটি আয়োজন করতে না পারলে নভেম্বরেও সম্ভব নয়। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপ বাছাই। তাই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ তিনটি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সেই সম্ভাবনার বিষয়টি বলতে চাইলেন না সবার সাথে আলোচনা না করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ জিতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উঠতে পারবে সে প্রত্যাশা কেউ করছেন না। তবে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই হবে বিশাল কিছু। কারণ, বাংলাদেশ চাইলেই এশিয়া তথা বিশ্ব হকির অন্যতম পরাশক্তি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় না। এই পাকিস্তান এশিয়া কাপে না খেলার কারণেই কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগ পেয়েছিল।
বাংলাদেশ এএইচএফ কাপে চরম ব্যর্থতা দেখিয়ে বিদায় নিয়েছিল সেমিফাইনাল থেকে। ফলে ইতিহাসে প্রথমবার এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান নাম প্রত্যাহার করায় সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ হয়ে সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই রেজাউল করিম বাবুরা খেলবেন তিন ম্যাচের সিরিজ ঘরের মাঠেই।