জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের ১৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন দেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ। ক্রীড়াঙ্গনে সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠকদের নিয়ে এমন দল গঠন প্রসঙ্গে নিজের যুক্তি তুলে ধরেছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন নিয়াজ মোর্শেদ। এই কমিটিতে দেশের প্রায় সবস্তরের সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠকরা জায়গা পেয়েছেন। নেপথ্যে ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক তারকা ফুটবলার আমিনুল হক। নিয়াজ মোর্শেদ এমন কমিটির আহ্বায়ক হয়ে বলেছেন, ‘আসলে আমি নিজে বিএনপির সমর্থক অনেক আগে থেকে। ৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমার পড়াশোনায় সাহায্য করেছিলেন। এবার আমিনুল বলায় নতুন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রীড়া দলের সঙ্গে যুক্ত হলাম।’ ক্রীড়া দলের সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন সাবেক ফুটবলার জাহিদ পারভেজ চৌধুরী। এছাড়া ক্রিকেটার রাজিন সালেহ, ফুটবলার মিজানুর রহমান ডন, শুটার দম্পতি সাইফুল আলম রিংকি ও সাবরিনা সুলতানা, শারমিন আক্তার রত্না, অ্যাথলেট মিলজার হোসেন,কারাতেকা মোয়াজ্জেম সেন্টু সহ অনেকেই। এই দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নিয়াজ বলেছেন, ‘দেখুন ৬০ বছর বয়সে এখান থেকে আমার কিছু পাওয়ার নেই। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ থাকবে। এই যেমন ধরেন রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকী দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। অ্যাথলেটও আছে। এত বছর পরও আমরা তাদের জন্য বলার মতো কিছু করতে পারছি না। ফুটবল ও ক্রিকেটের বাইরে অন্য খেলায় দৃষ্টি কম, আড়ালেই থাকে বলতে গেলে। আমি নিজে চাই যেন আমাদের ক্রীড়াবিদরা বিদেশে চলে না যায়। আর্থিক সমস্যা না থাকে এবং দেশে তারা যেন পর্যাপ্ত সম্মান পায়। ফেডারেশনগুলোতে যোগ্য লোকরা বসুক- এ নিয়ে আমরা কাজ করবো।’