জাপানের টোকিও শহরে আগামী ১৩-২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন এই প্রতিযোগিতায় হার্ডলার নাজমুল হোসেন রনিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি ফেব্রুয়ারিতে ৪০০ মিটার হার্ডলসে ৫০.৮৪ টাইমিং করে ৩১ বছর আগের জাতীয় রেকর্ড ভাঙেন। এবার সদ্য সমাপ্ত সামারেও এই ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছেন।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন সাধারণত এশিয়া বা বৈশ্বিক আসরে স্প্রিন্টারদের বেশি পাঠায়। এবার খানিকটা ব্যতিক্রম করে হার্ডলারকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘রনি ও ইমরানের মধ্যে আমরা একজনকে পাঠাতে চেয়েছিলাম। ইমরান চিঠি দিয়ে ফেডারেশনকে জানিয়েছে সে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে যেতে চায় না। ফলে রনিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার টাইমিং সাফ গেমসে স্বর্ণ পাওয়ার মতো এবং বয়সও কম। সব কিছু মিলিয়ে তাকে বিশ্ব পর্যায়ে খেলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।’
গত পরশুদিন (শনিবার) ছিল বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে নিবন্ধনের শেষ দিন। সামার অ্যাথলেটিক্সের পারফরম্যান্স বিবেচনাতেও রনি ফেডারেশনের দৃষ্টিতে এগিয়ে। শটপুটে গোলাম সারওয়ার, লং রানে রিংকি একাধিক জাতীয় রেকর্ড গড়লেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো নয় বলে মত ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদকের, ‘লং রান, থ্রো ইভেন্টে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অনেক পেছনে। থ্রো’র তুলনায় জাম্পে খানিকটা এগিয়ে। আবার জাম্পের চেয়ে হার্ডলস-স্প্রিন্ট আরেকটু এগিয়ে। আমরা দক্ষিণ এশিয়া, আমন্ত্রণমূলক প্রতিযোগিতায় থ্রো, জাম্পারদের পাঠাব সামনে। না হলে তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে।’
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে জাম্প, থ্রো ইভেন্টে অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকে। বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা সেটার চেয়ে পিছিয়ে। মান, খরচ বিবেচনায় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন বড় আসরগুলোতে এক জনের বেশি খেলোয়াড় পাঠায় না। সম্প্রতি বিশ্ব ইনডোরে জহির স্প্রিন্টে অংশ নিয়েছিলেন।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে খেলোয়াড় একজন হলেও কর্মকর্তা দুই জন যাচ্ছেন জাপান। ১১-১২ টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের কংগ্রেস রয়েছে। সেই কংগ্রেসে ডেলিগেট ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল নাঈম আশফাক (অব)। ডেলিগেট কাম ম্যানেজার হিসেবে যাচ্ছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।