দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ঘটছে একের পর এক নোংড়া কাহিনী। বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যৌন হয়রানি এবং ভয়ভীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর এবার শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরির ঝড়। প্রথম জিডি করেন কামরুন নাহার কলি, যিনি সরাসরি অভিযোগ তোলেন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক জি এম হায়দারের বিরুদ্ধে।কলির অভিযোগ, ফেডারেশনের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে তাকে এবং তার সহশুটারদের মানসিক চাপ দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন এবং ফেডারেশনের পরিবেশকে শত্রুভাবাপন্ন করে তুলেছেন। তার দাবি, ২০ সেপ্টেম্বর ফেডারেশনের ভেতরেই তার এক সহকর্মীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। জাতীয় দলে থাকার সময়ও জি এম হায়দার তাকে উদ্দেশ করে নোংরা ইঙ্গিত, অশালীন মন্তব্য এবং ‘তাকে সন্তুষ্ট করতে হবে’ ধরনের মন্তব্য করতেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।কলির সঙ্গে একই অভিযোগ তুলেছেন তাসমিয়াতি এমা। তারা অভিযোগ প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই জি এম হায়দার ও তার ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে চাপ ও হুমকি পাচ্ছেন বলে জানান। এ ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন সাবেক শুটার শারমিন আক্তার রতœা। তাকে নিয়েও পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে। রতœা বলেন, অভিযোগগুলো যে সত্য, তা স্পষ্ট। তাই নৈতিক জায়গা থেকে কথা বলছি। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
যখন যৌন হয়রানির অভিযোগে ফেডারেশন তোলপাড়, ঠিক তখনই গুলির হিসাব-নিকাশ নিয়েও নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। এ ঘটনায় প্রথম জিডি করেন জাতীয় দলের ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুর রহমান। তবে সেই জিডিই এখন প্রশ্নবিদ্ধ।এক জাতীয় শুটার অভিযোগ করেন, তাকে মাত্র পাঁচটি গুলি দিয়ে জোর করে একটি অঙ্গীকারনায় স্বাক্ষর করানো হয় যেখানে দেখানো হয়েছে তিনি ৫০টি গুলি গ্রহণ করেছেন। আব্দুর রহমান এই বিষয়টি নিয়ে গুলশান থানায় জিডি করলেও শুটারদের অভিযোগ, তার জমা দেয়া নথির স্বাক্ষর তাদের স্বাক্ষরের সঙ্গে মিলছে না। তাদের দাবি, ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তিনি জিডি করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের এসএ গেমসের গুলি কেলেঙ্কারির কারণে শুটিং থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন আব্দুর রহমান। দায়িত্বে ফিরে এসে তার বিরুদ্ধে আবারও গুলি নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বহু শুটারই বলেছেন, গুলির হিসাব-নিকাশে অসংগতি বহুদিনের সমস্যা।