দীর্ঘ ২০ বছর পর বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনে বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শুক্রবার। সর্বশেষ ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এজিএম। আসন্ন এজিএমে মূলত গঠনতন্ত্রের পরিবর্তনই প্রধান আলোচ্য বিষয়। সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, ‘২০০৫ সালের পর সাঁতারে এজিএম হয়নি। বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশন থেকে আমাদের উপর এজিএমের একটি নির্দেশনা অনেক দিন ধরেই রয়েছে। গঠনতন্ত্রও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করেই আমরা এজিএম করছি।’ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে প্রকৃত সংস্কার এখনো হয়নি। ফুটবল, ক্রিকেটের মতো বড় ফেডারেশনগুলো এখনো তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে সাঁতারই প্রথম ফেডারেশন হিসেবে এজিএম এবং গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করার পথে, ‘নির্বাহী কমিটিতে একই পদে দুই বারের বেশি নয়। ২৫ বছরের কম এবং ৭০ বছরের বেশি কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। এখন ১৫টি ক্লাব কাউন্সিলরশিপ পায়। সাঁতারের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য রেজাল্টের ভিত্তিতে ২৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। খসড়া গঠনতন্ত্র কাউন্সিলরদের পাঠানো হয়েছে। তাদের মতামতের প্রেক্ষিতেই গঠনতন্ত্র অনুমোদন হবে সভায়’ বলেন সাধারণ সম্পাদক।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফুটবল, ক্রিকেট বাদে অন্য সকল ফেডারেশনের জন্য আদর্শ গঠনতন্ত্র করার চেষ্টা করছে। সেখানে নির্বাহী কমিটিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বেশি রাখার প্রস্তাবনা রয়েছে। সাঁতার ফেডারেশনের প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র কমিটিতে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ছাড়া নারীদের আলাদা কাউন্সিলর ও নির্বাহী কমিটিতে বিশেষভাবে নারীদের কোনো সংখ্যা নেই। এ নিয়ে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাসের মন্তব্য, ‘আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের গাইডলাইন অনুযায়ী যেটা আমাদের জন্য প্রযোজ্য এবং বাস্তবসম্মত সেগুলোই নিয়েছি। এজিএমে গঠনতন্ত্র পাশ হওয়ার পর অবশ্যই সেটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইটিস ও এনএসসিতে প্রেরণ করা হবে।’ ফুটবল ছাড়া সকল ফেডারেশনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ৫ জন কাউন্সিলরশিপ রয়েছে।