ঢাকায় শুরু হয়েছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। প্রধান অতিথি হিসেবে বিকেলে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের (আইকেএফ) সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি বাহারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১১ দলের খেলোয়াড়, কোচ, প্রতিনিধিদের বর্ণিল উপস্থিতির সাথে মিরপুর ইনডোরের গ্যালারি ছিল ছাত্র-ছাত্রীর কলরবে মুখর। ২০১২ সালের ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের আরেকটি আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত সবাই। বৈশ্বিক নারী কাবাডি বিশ্বকাপ প্রথমবারের মত আয়োজন করছে বাংলাদেশ। আয়োজকদের প্রস্তুতি ও আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন অভ্যাগতদের সবাই। প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কাবাডি আমাদের কাছে একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু। এটি আমাদের সাহস, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলাদেশীরা এই খেলার সাথে বেড়ে উঠেছে এবং এখন বিশ্ব মঞ্চে। বাংলাদেশে এটি আয়োজন করা একটি স্বপ্ন পূরণের মতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গর্বের এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের প্রিয় ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কেবল একটি সম্মানের বিষয় নয়- এটি ক্রীড়া জগতে বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং দৃঢ়তার প্রমাণ।’ বিশেষ অতিথি আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনে সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি বলেন, ‘প্রতিটি দলের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাইকে ঢাকায় স্বাগতম। কাবাডি মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করবে, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবে বলে আমি আশা করি। আসুন এই প্রতিযোগিতাকে আমরা স্মরণীয় করে তুলি।’ বক্তব্য পর্ব শেষে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ-উগান্ডা ম্যাচ দিয়ে মাঠের লড়াই শুরুর আগ পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।