বাহরাইনে চলমান এশিয়ান যুব গেমসে কাবাডি, গলফ ও কুস্তি- এই তিনটি ডিসিপ্লিনে পদকের প্রত্যাশা করেছিল বাংলাদেশ। সেখানে কেবল কাবাডিই দুটি পদকের আশার পূরন করেছে। তবে রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে কোন পদক প্রত্যাশার ঘোষণা দিতে পারেননি কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ-বাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের শেফ দ্য মিশন এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম ফকির বলেন, ‘আমরা এখনি কিছু বলতে পারছি না। পদক জয়ের আশাও ছাড়ছি না।’এ সময় বিওএর মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) এবিএম শেফাউল কবীর এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।শেখ দ্য মিশনের মতো পদকের কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তারাও। তবে ক্রীড়াবিদদের প্রণোদনার কোন কমতি নেই কারো কথাতেই। উশুর সাধারন সম্পাদক দিলদার হাসানের কথা, ‘পদক জিতেল বিওএর স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে ছয়, চার ও দুই লাখ টাকা ঘোষণা করেছে। আমরা ব্রোঞ্জ পদক জিতলেই ৫০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। আশাকরি উশুকারা সেই লক্ষ্য পূরন করতে পারবে।’

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সহসভাপতি ইকবাল হোসেনের কথা, ‘আমরাও প্রণোদনা দিচ্ছি। স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে তিন, দুই ও এক লাখ টাকা ঘোষণা করেছি।’কারাতের সাধারন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য পদকের প্রত্যাশা করে বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় গেমসে আমাদের পদকের ধারাবাহিকতা ছিল। এখানেও ছেলে মেয়েরা আমাদের হতাশ করবে না আশকরি।’

আগামী ৭-২১ নভেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে গেমসের ষষ্ঠ আসর। ২৩টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ খেলবে ১০টিতে। ক্যারিয়ার সেরা নৈপূন্য প্রদর্শন করতে চেষ্টা করবেন লাল সবুজের ৩৬ জন ক্রীড়াবিদ। সঙ্গে কোচ, ম্যানেজার হিসাবে যাচ্ছেন আরও ১৬ জন। শেফ দ্য মিশনসহ সরকারী ও বিওএর রয়েছেন আরও ১০ জন। সব মিলিয়ে ৬২ জনের কন্টিনজেন্ট।এবারের গেমসের উদ্বাধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টে লাল সবুজের পতাকা থাকবে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিন আহমেদ ও স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার। গেমস রিয়াদে হওয়ায় ওমরাহ পালনের জন্য ক্রীড়বিদ ও কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বিওএ। এবারের ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে অন্য দেশের মতোই বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশও। কোন দেশের অ্যাথলেটদের কাছ থেকেই ভিলেজ ভাড়া নিচ্ছে না তারা। সেই হিসাবে প্রতিদিন ৬২ জনের ৫০ মার্কিন ডলার করে ১৮ দিনে ৬৮ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা করে)।