আসন্ন তিনটি গেমসকে সামনে রেখে ভালো ফলাফলের প্রত্যাশায় প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন (টিটি)। গেমসগুলো হচ্ছে আগামী ২২-৩১ অক্টোবর বাহরাইনে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় এশিয়ান ইয়ুথ গেমস। এরপর ৭-২১ নভেম্বর সৌদি আরবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। সর্বশেষে আগামী বছরের জানুয়ারিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ান গেমস (এসএ গেমস)। এই তিন গেমসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন ২৭ মে থেকে শুরু করেছে আবাসিক ক্যাম্প। যেখানে পুরুষ ও নারী মিলিয়ে ৪১ জন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছেন। দেশি কোচদের অধীনে প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রা। ইনডোরে শুধু ফিটনেস অনুশীলন হচ্ছে। টেবিলেও অনুশীলন করছেন। তবে একটা জিমনেসিয়ামের অভাবে খেলোয়াড়দের ট্রেনিংয়ে পূর্ণতা আসছে না। এরই মধ্যে ভারোত্তোলনের জিমনেসিয়াম ব্যবহারের চেষ্টা করেও সেটা পায়নি টেবিল টেনিস ফেডারেশন। শুরুতে আকারে ছোট রাখার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পের পরিধি বাড়াতে হয়েছে টেবিল টেনিস ফেডারেশনকে। এ ব্যাপারে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন মাকসুদ আহমেদ সনেটের ব্যাখ্যা, আমাদের জন্য পরপর অনেকগুলো টুর্নামেন্ট করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। যে কারণে অনেকে বলছে যেহেতু আমরা টুর্নামেন্ট পাইনি। তাই আমাদের ট্রেনিংয়ে সুযোগ দেন। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই।

আগামী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ক্যাম্প থেকে পুরুষ ও নারী বিভাগে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে ১০ জন করে খেলোয়াড়। যদিও এর ফাঁকে একটা র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে চায় ফেডারেশন। ওই প্রতিযোগিতায় যদি কেউ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে তাকেও দলে রাখা হবে। এবারের ট্রেনিংয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ফিটনেসের ওপর। মাকসুদ আহমেদ বলেন, আমরা এবার সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি ফিজিকাল ফিটনেসের ওপর। তাদের বাড়তি পুষ্টিকর খাবার দেয়া হচ্ছে। যদিও ইয়ুথ গেমস ও সলিডারিট গেমস আগে শুরু হলেও ফেডারেশনের মূল লক্ষ্য এসএ গেমসে সাফল্য, তেমনটাই জানালেন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, অন্য দুটি টুর্নামেন্ট মূলত পরীক্ষামূলক। সেখানে যে ভুলত্রুটিগুলো হবে পরবর্তীতে যেন সেগুলো শুধরিয়ে নিতে পারি।

এরই মধ্যে চীন থেকে কোচ আনারও পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশি কোচের অধীনে খেলোয়াড়েরা আরও উন্নতি করতে পারবে বলে মানছেন তিনি, আমরা চীনের একজন কোচ পেয়ে যাব। আগামী জুলাইয়ে হয়তো উনি চলে আসবেন।বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের কোনও ইভেন্টে কখনও এসএ গেমসে ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে এবার অন্তত রৌপ্য পদকের স্বপ্ন দেখছেন খেলোয়াড়েরা। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ প্রেসিডেন্টস কাপ র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে জুনিয়রে চ্যাম্পিয়ন নাফিস ইকবাল এমন ট্রেনিং পেয়ে উচ্ছ্বসিত। নাফিসের স্বপ্ন এসএ গেমসে রৌপ্য জয়। তার ভাষ্য,"আমাদের খুব ভালো ট্রেনিং হচ্ছে। ভালো কিছু করার আশা আছে। এবারে ট্রেনিংয়ে ফুটওয়ার্ক ও ফিজিকাল ফিটনেসে জোর দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু এসএ গেমসের জন্য অনেক সময় আছে। তাই আমার লক্ষ্য অবশ্যই ভারতকে হারানো। তা না হলে অন্তত রুপা জিততে চাই।' একমি কাপ টেবিল টেনিসের সিনিয়র ও জুনিয়রের এককে চ্যাম্পিয়ন খৈ খৈ মারমাও নাফিসের সুরেই কথা বললেন, 'আমাদের আসল লক্ষ্য এসএ গেমস। এর আগে সলিডারিটি গেমসেও দেশকে কিছু উপহার দিতে চাই। আমরা চাইলেই এসএ গেমসে রুপা জিততে পারি। সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। তাছাড়া যেহেতু হাতে ৭ মাস সময় আছে আমাদের। শুধু শ্রীলঙ্কাকে হারালেই রৌপ্য পদক নিশ্চিত হবে আমাদের।'