সদ্য সমাপ্ত দক্ষিণ এশিয়ান রিজিওনাল ইয়ুথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিলেও আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি খেলোয়াড়রা। নেপালে গত ২৪-২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দল সাতটি ব্রোঞ্জপদক জিতে দেশে ফিরেছে। এই সাতটি পদকের মধ্যে একটি ব্যক্তিগত। অনূর্ধ্ব-১৯ বালক বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন জয় ইসলাম। বাংলাদেশের অন্য ছয়টি ব্রোঞ্জ হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলগত, দ্বৈত বালক-বালিকা ও অনূর্ধ্ব-১৫ বালক-বালিকা দ্বৈতে। গত আসরগুলোর চেয়ে এবার খেলোয়ারদের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় সমালোচনা শুনতে হচ্ছে নবগঠিত অ্যাডহক কমিটিকে। ২০২২ জুনিয়র সাফে বাংলাদেশ স্বর্ণ জিতে তাক লাগিয়েছিল। পরের বছর দু’টি রৌপ্য ও সাতটি ব্রোঞ্জ জেতে, গত বছর দু’টি রৌপ্য ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত তিন আসরেই বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল। এবার কোনো ইভেন্টে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে এতে আশা হারাচ্ছে না ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। মাত্রই কিছু দিন আগে দায়িত্ব নেয়া নতুন কমিটির কাছে এই প্রতিযোগিতা ছিল একটা অভিজ্ঞতা মাত্র। যদিও এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আগে থেকে কোনো কিছু জানা ছিল না বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের। এমনকি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নেপালে অংশ নেওয়া হতো না, যদি সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন এ এম মাকসুদ আহমেদ ৬ মার্চ হঠাৎ করে দোহায় এশিয়ান টেবিল টেনিস ইউনিয়নের সদর দপ্তরে না যেতেন। সেখানে গিয়েই মূলত তিনি জানতে পারেন এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব। যেটি একই সঙ্গে ছিল এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বও। এরপরই ফেডারেশন দক্ষিণ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পয়নশিপকে সামনে রেখে ক্যাম্প ডাকার উদ্যোগ নেয়। যে ক্যাম্প থেকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয় ১৬ জন খেলোয়াড়কে। এরা হলেন হাসিব উল হাশেম, ইকবাল মোহাম্মদ নাফিজ, জয় ইসলাম, সাগর আলী, খৈ খৈ মারা, রেশমি তঞ্চ্যঙ্গা, হাবিবা খাতুন, ঐশি রহমান, মনিরুল ইসলাম, শাহিন আহমেদ, শাওন আলী, রাব্বি ইসলাম, শ্রাবণী দেবনাথ রানী, রাফিয়া চৌধুরী, ফারজানা কেয়া ও জান্নাত ইসলাম রোজা। মাত্র অল্প কদিনের প্রস্তুতিতে নেপালে গিয়ে এই খেলোয়াড়েরা যেভাবে লড়াই করেছেন তাতে এদের মধ্যে অপার সম্ভাবনা দেখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন এ এম মাকসুদ আহমেদ।